ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বিডিআর বিদ্রোহে বায়তুল ইজ্জত’

জওয়ানদের উচ্ছৃঙ্খলতার বর্ণনা দিলেন এক কর্মকর্তার স্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জতে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রত্যদর্শী হিসেবে এক কর্মকর্তার  স্ত্রীসহ আরও ১০ জন স্যা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নগরীর হালিশহরে ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নে স্থাপিত বিশেষ আদালত-১৬ তে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার এ স্যা গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।



সকাল ৯টায় স্যাগ্রহণ শুরু হয়ে তা চলে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।

স্যা দানকারীদের মধ্যে মহিলা হচ্ছেন, বিজিবি ট্রেনিং সেণ্টার অ্যান্ড স্কুলের ওই সময়ের ও বর্তমানের উপ-সহকারী পরিচালক মুজিবর রহমানের স্ত্রী শারমীন জাহান।

আদালতের সামনে শারমীন জাহান বিদ্রোহের সময় তার বাসায় ঢুকে উচ্ছৃঙ্খল বিডিআর জওয়ানদের তাণ্ডবের সবিস্তার বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের প্রসিকিউটর লে.কর্ণেল শামীমুর রহমান।


গত ১৬ মার্চ থেকে স্যা গ্রহণ শুরুর পর থেকে এ মামলায় মোট ১৪৩ জন সাীর মধ্যে ৩১ জন আদালতে স্যা দিলেন।

লে.কর্ণেল মো.শামীমুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘১০জন সাীর স্যাগ্রহণ শেষে আদালত রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। ’

বুধবার স্যা দানকারীদের মধ্যে শারমীন জাহান ছাড়াও তিনজন সেনা কর্মকর্তা এবং ছয়জন বিডিআর জওয়ান রয়েছেন।

এরা হলেন, লে.কর্নেল আজিজ, মেজর ইকবাল, মেজর সোহেল, বেসামরিক পর্যায়ের বিজিবি কর্মকর্তা মোরশেদ আলম, বাগানের মালি মুজিবুল হক, নায়েক সুবেদার জামাল, হাবিলদার মান্নান, নায়েক শাহীন এবং সিপাহি মান্নান।

এর আগে ১৫ মার্চ সাতকানিয়ায় বাইতুল ইজ্জত ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ১৫৩ জন জওয়ানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়।

বিশেষ আদালতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কর্নেল মো. বশিরুল ইসলাম। তাকে বিচার কাজে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গৌতম কুমার রায়, লে. কর্নেল মো. আবদুর রউফ ও মেজর এম এ রাকিব।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দেশের একমাত্র বিডিআর ট্রেনিং সেন্টার বাইতুল ইজ্জতের বিডিআর জওয়ানরা।

এসময় তারা অগ্নিসংযোগ,অস্ত্র লুট, হামলা, মারধর এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

পরে বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটনের দায়ে ১৫৩ জন জওয়ানকে অভিযুক্ত করে এ মামলা দায়ের করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।