ঢাকা: জানুয়ারি ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত পশ্নোত্তর পর্বে নিলোফার চৌধুরী মনির এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান।
সাহারা খাতুন জানান, ২০০৯ এর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৩৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭০ জন। এর মধ্যে ২০০৯ সালে নিহত হয়েছেন সর্বাধিক ৬৭ জন, আহত হয়েছেন ৮০ জন, ২০১০ সালে নিহত হয়েছেন ৬০ জন, আহত হয়েছেন সর্বাধিক ৮৭ জন ও ২০১১ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ৯ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩ জন।
সংসদকে মন্ত্রী জানান, সীমান্তে যাতে গোলাগুলির ঘটনা কমে আসে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর ফলে আগের তুলনায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনেক কমে এসেছে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা শুণ্যতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করে যাচ্ছে।
একই প্রশ্নের জবাবে সংসদকে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ সব বৈঠকে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি বছরে ১৮ থেকে ১৯ জানুয়ারি দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
জুনাইদ আহমেদ পলকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে জানান, বর্তমান দেশে পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১ লাখ, ৩৯ হাজার, ৫৪৬ জন। প্রতি ১ হাজার ১৪৬ জনের জন্য ১ জন পুলিশ রয়েছে।
নুরুল ইসলাম বিএসসির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুলিশ বিভাগের জন্য ৮৭৫টি পিকআপ ও ২ হাজার ৯৯০িিট মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব সরকার অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১