ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দেশের প্রয়োজনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এসেছে: টিএইচ খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

ঢাকা: দেশের মানুষের প্রয়োজনে আপদে বিপদে সংবিধান পরিবর্তন করা যেতে পারে। আর এ রকম একটি প্রয়োজনের  সময়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিলো।



তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বৈধতা নির্ণয়ে করা আপিলের শুনানিতে দ্বিতীয় এমিকাস কিউরি হিসেবে টিএইচখান এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগে পঞ্চম দিনের শুনাতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

টিএইচ খান আরও বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থেই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্রের জন্য সামরিক শাসন সুনামি বয়ে এনেছিলো। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রয়োজন। ক্ষমতাধর শক্তির দ্বারা নির্বাচন পদ্ধতি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এ জন্যই এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এসেছিলো। তাদের উদ্দেশ্য ৯০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও চালু করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই বাংলাদেশে আরও ৭০ বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু রাখা দরকার। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি যেতে চায়, আওয়ামী লীগ যেতে চায় না। আবার আওয়ামী লীগ যেতে চায় বিএনপি যেতে চায় না। এতে রশি টানাটানির সৃষ্টি হয়, যা জাতির জন্য শুভ ও কল্যাণকর নয়। এজন্যই নিরপেক্ষ (নিউট্রাল) বডির হাতে ৯০ দিনের নির্বাচন পরিচালনার সামান্য ক্ষমতা দেওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে হাইকোর্টের একটি রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে রায় দিলে সলিমউল্লাহ, রুহুল কুদ্দুস বাবু এবং আব্দুল মান্নান নামে তিনজন ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

ওই আপিলের ওপরই শুনানি চলছে।

প্রথম আমিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে ড. কামাল হোসেনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার টিকিয়ে রাখার পক্ষে মত দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad