ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৈয়বুল হাসান এ আদেশ দেন।
এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন- জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, জামায়াতের কেরানীগঞ্জ থানার আমীর হাজি নাজিম উদ্দিন, ঢাকা জেলা আমীর আবুল হোসেন, ফয়জুর রহমান ফয়েজ, কেজি করিম বাবলা, মো. ইয়াসিন, ডা. জয়নাল আব্দুল খালেক, আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী ও পুইন্না আল বদরসহ ১৩ জন।
আসামিদের মধ্যে জয়নাল আব্দুল খালেক, আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী ও পুইন্না আল বদর মারা যাওয়ায় মামলা থেকে এদের বাদ দেওয়া হয়।
কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আবেদন করেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ছিল আগামী ২ আগস্ট।
২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জ থানার ভাওয়াল খানবাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ খান বাদি হয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। প্রথমে আদালতে পিটিশন মামলা করা হয়। পরে ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জ থানায় তা নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু হয়।
বাদি তার অভিযোগে নিজেকে কেরানীগঞ্জ থানার একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানসহ আরও অনেকে পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করতে রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠন করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ও ওসমান গণি তাদের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে আসামিরা তাদের ঘিরে ফেলে। পরে সকাল সাড়ে ৭টায় এ দুই মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০