ঢাকা: কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বরাদ্দ করা প্লটের মধ্যে ৩৯টির ইজারা (বন্দোবস্ত) বাতিল সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি নাঈমা হায়দারের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
জোট সরকারের সময় কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে ৫৯টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী এসব প্লটে তিন বছরের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করায় গত ১২ জানুয়ারি ৫৫টি প্লটের ইজারা বাতিল করে সরকার।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ইজারা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ৪৬টি রিট হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এসব মামলায় রুল জারি করে স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেন এবং শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।
রায়ে ইজারা বাতিলের ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্ট ৩৯টি রিট আবেদন খারিজ করে দেন। বাকি ১৬টির ব্যাপারে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট রফিকুল হক, মাহমুদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, আবদুল মতিন খসরু, ড: এম জহির প্রমুখ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোস্তফা জামান ইসলাম এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।
রায় ঘোষণার পাশাপাশি আদালত এ ব্যাপারে ছয়টি নির্দেশনাও দিয়েছেন।
এগুলো হলো ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেশগত এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, এসব এলাকা রক্ষার জন্য একজন পরিচালক নিয়োগ দেবে ভূমি মন্ত্রাণালয়, প্রতিবেশগত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো, জেলা প্রশাসক দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে জমির সীমানা ও অবস্থান নির্ধারণ করবেন, ইজারা বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের টাকা ফেরত দিতে ভূমি মন্ত্রণালয় বাধ্য থাকবে এবং ভবিষ্যতে লিজ দেওয়ার সময় এদের আবেদন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০