ঢাকা: তখনও বেঁচে ছিল শিশুটি। পুরনো ঢাকার সোয়ারিঘাটে ট্রাকের চাপায় গুরুতর আহত সে।
ঘটনাটি বেলা সাড়ে তিনটার। পাঁচ বছরের এ শিশুটির নাম শেফা আক্তার নাসরিন। লালবাগ থানার ইসলামবাগের বাসিন্দা লিয়াকত হোসেন তার বাবা। মামার সঙ্গে মোটারসাইকেলে চড়ে যাওয়ার পথে সোয়ারিঘাটে এ ঘটনার শিকার হয় শেফা।
অগত্যা কোলে করেই আহত শেফাকে নিয়ে যেতে হলো জরুরি বিভাগে। সেখানে তার শরীরে স্যালাইন পুশ করে পাঠানো হয় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। এবারও নিয়ে যাওয়া হয় কোলে করে। এর কিছুক্ষণ পরই প্রাণপ্রদীপ নিভে যায় মা-বাবার আদরের এ ছোট্ট শিশুটির।
এদিকে, হাসপাতালের নির্দিষ্ট কক্ষে ৭/৮টি ট্রলি ছিল দাবি করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল হক মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘তাদের ট্রলি না পাওয়ার কোনো কারণ ছিল না। ’
শিশুটি স্পটেই মারা গেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক ময়না তদন্ত ছাড়াই তার লাশ নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করতে দেয়নি বলেই এমন প্রচার চালানো হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১১