ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামাতের ইন্ধনে নারী নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

কোম্পানীগঞ্জে ওলামা পরিষদ-পুলিশ সংঘর্ষ, ৭ পুলিশসহ আহত ২০

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১১

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর ইন্ধনে নারী নীতি নিষিদ্ধ করার দাবি ও ফতোয়া নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়া নিয়ে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

সংঘর্ষে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই), দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), দুই কনস্টেবল ও এক নায়েকসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।



শনিবার বিকেল ৫টায় উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে।

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্য বেলায়েত হোসেন, জামায়াত নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন, শিবিরকর্মী জহুরুল ইসলাম, বসুরহাট ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্য মাওলানা আবদুর রব ও মাদ্রসার শিক মাওলানা বেলায়েত হোসেনকে আটক করে।

প্রত্যদর্শীরা জানায়, বিকেল ৫টায় বসুরহাটে উপজেলা জামে মসজিদের সামনে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে নারী-পুরুষ সমঅধিকার আইনের নামে কোরআন সুন্নাহ বিরোধী আইনের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।

পুলিশের বাধা উপো করে মিছিল ও সমাবেশ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিােভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ  ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিােভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিপে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটের আঘাতে আহতরা হলেন মাহাদী (১৮), বুলবুল (২২), জুবায়ের (২৫), শাহীন (২২), হেদায়েত উল্যা (২১), নূর উদ্দিন (১৮), নিজাম উদ্দিন (২৪), সাইফুল ইসলাম (২২), আবদুর রব (৫০), বেলায়েত হোসেন (৩৮), জহুরুল ইসলাম (৩৮), মহি উদ্দিন (৩৫) ও বেলায়েত (৩২)।

এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুরুল হক আকন্দ জানান, উপজেলা মসজিদের সামনে থেকে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের নামে জামায়াতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে নারী নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় তাঁদের পুলিশ লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিপে এবং অস্ত্র নিয়ে টানাটানি করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভকারীদের হামলায় কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আকরাম, এসআই মোশারফ, এএসআই মান্নান, এএসআই মোমেন, নায়েক সোহাগ মিয়া, কনস্টেবল সালেহ আহম্মেদ ও কনস্টেবল কৃষ্ণ চাকমা আহত হয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সংঘর্ষের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।