ঢাকা: গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষতি কখনোই চায় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, গত জানুয়ারি মাসে গঠন করা পর্যালোচনা কমিটি গ্রামীণ পরিবারের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করবে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতা এবং অন্যান্য যে সব প্রতিষ্ঠান বা ট্রাস্টের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের আর্থিক বা নির্বাহী প্রধানের ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তা বিস্তারিত পরীক্ষা করে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান করবে। যদি কোনো ধরণের অনিয়ম থাকে সেটি অনুসন্ধান করে করণীয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ ও সঞ্চয়ের ওপর সুদের হার ও সুদ পদ্ধতি এবং সুদ আদায়ের নিয়মাবলী ও ব্যবস্থা, অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরণের চার্জ নির্ধারণ এবং সঞ্চয়ী সুদ প্রদানের রীতি বিশ্লেষন করে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করবে। এ ক্ষেত্রে মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সুদের হার ও অন্যান্য চার্জের তুলনা মূলক বিশ্লেষণ করে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো অনিয়ম বা ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা থাকলে তা দূর করার সুপারিশ করবে এই পর্যালোচনা কমিটি।
মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি আইন, ২০০৬ জারির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ বলে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বিষয়ে সামগ্রিক প্রতিবেদনসহ সুপারিশ প্রণয়ন করবে। এই কমিটি ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে কোন তদন্ত করবে না কমিটি। সরকার চাইলে ব্যাংকটিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১