ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিদের সরাতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১১

ঢাকা: লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ দেশে ফেরাতে বাংলাদেশকে সবধরনের সহায়তার করার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার রাত সোয়া নয়টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তর এ সহায়তা করবে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।

লিবিয়া ইস্যুতে বাংলাদেশকে ডিএফআইডি’র প্রথম সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মাধ্যমে তিউনিসিয়া থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে। তিনটি ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে সোমবার বাংলাদেশিদের ঢাকা আনা হবে।

এদিকে লিবিয়া থেকে সরে আসা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে আসার কাজ দ্রুত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিশর, তিউনিসিয়া ও গ্রিসে কাজ করছেন বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।

মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অণুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান, পরিচালক মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ ও কায়রো দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বর্তমানে লিবিয়া-মিশর সীমান্তের আল সালৌমে অবস্থান করছেন।

লিবিয়া-মিশর সীমান্তের ওই এলাকাটিতে রোববার বিকেল পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৩ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। এদের অনেকেরই কাছে পাসপোর্ট বা ভ্রমণের কাজপত্র নেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ওই বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির কাজ করছেন।

মিশর সীমান্তে যাওয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে আইওএম বিমানের ব্যবস্থা করছেন বলেও জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

লিবিয়া-মিশর সীমান্তে গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা যাওয়া জাহাঙ্গীর আফ্রাদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও করছে আইওএম।

জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ইউএনএইচসিআর ওই এলাকায় বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের খাবার-ওষুধসহ পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে।

লিবিয়া-তিউনিসিয়া সীমান্তের রাশদির নাম স্থানে প্রায় ১৬ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এ সংখ্যা প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

ইরানের তেহরান দূতাবাসের প্রথম সচিব এসএম নাজমুল হাসান ও লিবিয়ার ত্রিপোলি দূতাবাসের শ্রম সচিব আহসান কিবরিয়া এই বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়গুলো তদারকি করছেন।

ইউএনএইচসিআর ও আইওএম এখানেও বাংলাদেশিদের সহায়তা করছে। এছাড়া স্থানীয় তিউনিসিয়াবাসীও অভ্যাগতদের সহায়তা করছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে।

তিউনিসিয়া সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে আইওএম ভাড়া করা বিমানের ব্যবস্থা করেছে। তারা পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।