ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলায় ভিড় বাড়ছে

হাজেরা শিউলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১১

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। গৃহিনী থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মেলাঙ্গন।

এর সঙ্গে যোগ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উত্তাপ।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ছাপানো বুকলেটে মূল্য ছাড়ের তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপ ম্যাচের ফিকশ্চার দিচ্ছে।

মেলা ঘুরে কসমেটিস, টেক্সাটাইল, থ্রি পিস, জুতা ও জামার দোকানে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্যাকেজে মূল্য ছাড়ে পণ্য কেনার সুযোগ থাকায় খাবার কোম্পানিগুলো এবার ক্রেতাদের মনোযোগ কেড়েছে।

হালিশহর থেকে মেয়ে তাসনিমকে নিয়ে মেলায় এসেছেন গৃহিনী রায়হানা রহমান। মেয়ের জন্য কানের  দুল এবং কসমেটিকস কেনার পাশাপাশি মূল্য ছাড় থাকায় বিস্কুট-চিপসের মতো খাদ্য দ্রব্যও কিনলেন এক গাদা।

তবে অধিকাংশ স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানালেন বিক্রি আশানুরূপ নয়। তবে সামনে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

ঢাকা থেকে আসা আব্দুস রফিক স্ত্রী মালেকা বেগমকে নিয়ে ইরানী-থাই এম্পোরিয়ামে স্টল দিয়েছেন। ঢাকার গুলশানে সুপার মার্কেটে তাদের দোকান রয়েছে। চট্টগ্রামে এসেছেন ব্যবসার প্রসারে।

মালেকা বেগম বাংলানিউজকে জানান, মেলার টুকটাক বেচা-কেনা চলছে, এখনও তেমন একটা জমেনি। তবে ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।
 
ঢাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় অনেকবার অংশ নিলেও চট্টগ্রামের মেলায় এবাররই প্রথম এল ফ্রেশ। জাহাজের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলীর কারণে ফ্রেশের স্টলটি মেলায় আসা ক্রেতা-দশনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে।

মেলায় বিভিন্ন প্যাকেজের মূল্য ছাড়ের পাশাপাশি শিশুদের জন্য ফ্রি ট্রেনে চড়া এবং থ্রি ডি মুভি দেখানোরও ব্যবস্থা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
 
ফ্রেশের এক্সিকিউশন হেড (ব্যান্ড) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা মেলায় অংশ নিয়েছি। আমাদের সব পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে মেলায় আসা।

তাদের সে পরিকল্পনায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

এমনিভাবে অনেক প্রতিষ্ঠানই এসেছে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বাড়াতে।
 
এদিকে মেলায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ পেয়ে খুশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা।

বাংলালায়ন, সিটিসেল, মার্কস, ইউনিলিভার, বিডি-কোরিয়া ট্রেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে কাজ করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বাংলালায়নের স্টলে কর্মরত বিক্রয় প্রতিনিধি মহসীন কলেজের ছাত্রী আনিকা বাংলানিউজকে বলেন, সরকার তো পার্ট টাইম জবের ব্যবস্থা করেনি, তাই মেলা আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন, একদিকে এখানে পার্টটাইম কাজ করে নিজের খরচ চালাতে পারছি। অন্যদিকে এটা আমাদের ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসাবে কাজ করবে। এখন তো অভিজ্ঞতা ছাড়া কোথাও চাকরি পাওয়া যায় না।
 
শুধু কেনাকাটা নয়, সুন্দরবনকে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে চট্টগ্রাম চেম্বার ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্টলে লাইন ধরে ভোট দিতে দেখা গেছে দশনার্থীদের।

তবে ল্যাপটপ কম থাকায় অনেকে অধৈর্য হয়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানান ওই স্টলের ইন চার্জ সমর দেওয়ান।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, টেকনিক্যাল প্রবলেম এবং ল্যাপটপ কম থাকায় প্রতি দিন আড়াইশ’র মতো ভোট নিতে পারছি। ল্যাপটপ বেশি থাকলে আরও বেশি ভোট সংগ্রহ করা যেত।

মেলায় আসা বিক্রেতা-দর্শনার্থীরা আশা করছেন আগামী সপ্তাহ থেকে মেলা পুরোদমে জমে উঠবে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে বেসরকারি আয়োজনে সবচেয়ে বড় এ মেলায় এবার চার লাখ বর্গফুটের সুবিশাল পরিসরে ৩০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
 
এছাড়া প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ফেডারেশন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা এ মেলায় অংশ নিচ্ছে।

এছাড়া ইরান, কাশ্মির, আরব আমিরাত ও কোরিয়া তাদের নিজস্ব পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ