ভোলা: ভোলায় ব্রয়লার মুরগিতে বার্ড ফ্লু জীবানু সনাক্ত হলেও এর প্রভাব পড়েনি মুরগির বাজারে। দেশি বা ফামের্র মুরগি ও ডিমের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে।
বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেও ভোক্তরা এ বিষয়ে সচেতন নয়।
তারা হাট-বাজার থেকে হাস-মুরগি ও ডিম কিনে দৈনিন্দিন প্রয়োজন মেটাচ্ছেন।
শহরের হোটেল-রেস্তোরায়ও ব্যপক হারে বিক্রি হচ্ছে হাস-মুরগির মাংস।
ভোলার মুরগি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা দেশি ও পল্ট্রি মুরগির পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন। ক্রেতাদের ভিড়ও রয়েছে সেখানে। তবে দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতাই হতবাক।
আবুল কালাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ভোলার বাজারে মুরগির দাম গত কয়েকদিন আগেও যা ছিল এখনও তাই রয়েছে। তার অভিযোগ ইচ্ছে করেই বিক্রেতারা বেশি মুল্যে মুরগি বিক্রি করছেন।
এদিকে মুরগি বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি দেশি মুরগি ২৩০ টাকা, ফার্ম ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামতো কমেইনি বরং খাবারের দাম বাড়ায় দু’একদিন পড়ে দাম আরো বাড়তে পারে।
ডিমের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে প্রতি হালি দেশি হাঁসের ডিম ৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৩২ টাকা ও পল্ট্রি মুরগির ডিম ২২ থেকে ২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা মনে করছেন, বার্ড ফু জীবানু সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ভোলায় বার্ড ফু আতংক বিরাজ করলেও মুরগির ফার্মগুলোতে তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। ভোক্তরাও সচেতন না হয়ে হাঁস-মুরগির মাংস খাচ্ছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বাংলানিউজকে জানান, ভোলার একটি ফার্মে বার্ড ফ্লু জীবানু পাওয়ার পর থেকে প্রাণী সম্পদ বিভাগ এ বিষয়টি তত্বাবধান করছে। বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষন করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ১ কিলোমিটার এলাকায় রেড এ্যালার্ট জারী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২