ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিশেষ সুবিধা পাবে খেলোয়াড় ও তাদের পরিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১

ঢাকা : পুরস্কার, অনুদান, চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা ও অনুদানসহ ১২টি উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিল-২০১১ পাস হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে এই বিল পাস করা হয়।



এছাড়া ১৯৭৬ পরবর্তী সময়ে জাতীয় ক্রীড়াপরিষদের অনুমোদনপ্রাপ্ত ১৯টি সংস্থার সভাপতি নিয়োগের জটিলতা নিরসনের জন্য ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল (সংশোধনী) বিল ২০১১’ পাস হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার বিল দুটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিল দুটির ওপর আনিত সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।
 
বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিলে বলা হয়েছে- দুঃস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ, চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা, অনুদান ও বাৎসরিক বৃত্তির জন্য এই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ সালের ৬ আগস্ট ক্রীড়া, খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন অথবা রাখছেন এমন ক্রীড়াসেবীদের জন্য এই ফাউন্ডেশন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছিলেন। ওই ফাউন্ডশনের জন্য ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের শাহাদাৎ বরণের পর এই ফাউন্ডেশন গঠনের নথিটি চাপা পড়ে যায়। বর্তমান সরকার এই ফাউন্ডেশন গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই আইনটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে ক্রীড়া, খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখছেন তারা উৎসাহিত হবেন। দেশে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরি হবে।

এই আইনটি পাসের ফলে বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদ কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে। গতকাল বিলটি পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি আইনে পরিণত হবে। আর আইনে পরিণত হলে যথাশিগগির সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ গঠন করবে। এই ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। ১০ সদস্যের কমিটি দিয়ে এটি পরিচালিত হবে।
 
ন্যাশনাল স্পোর্ট কাউন্সিল (সংশোধনী) বিল-২০১১ সম্পর্কে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আহাদ আলী সরকার বলেন, ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪-এর ২০ ধারা অনুসারে উক্ত তফশিল সংশোধনের ক্ষমতা সরকারের ছিল। অর্থাৎ সরকার  ইচ্ছা করলে তফসিলে ফেডারেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি অথবা হ্রাস করতে পারতো। কিন্তু ১৯৭৬ সালের সংশোধনী অধ্যাদেশে সেই ক্ষমতা রহিত করা হয়। বর্তমানে ক্রীড়া  পরিষদের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জাতীয়ভিত্তিক ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ৪১টি। কিন্তু ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ (২০০৩ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ২০ ধারায় তফসিলভুক্ত ২২টি ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচন বা সরকার কর্তৃক মনোনয়নের বিধান রয়েছে। বাকি ১৯টি ফেডারেশনের সভাপতি নিয়োগের অস্পষ্টতা রয়েছে। এ জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতি নিয়োগের সুবিধার্থে ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল (সংশোধনী) বিল ২০১১ পাস করা হলো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।