ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগ সত্য : ডেপুটি স্পিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১

ঢাকা : ‘আগরতলা ষড়ন্ত্র মামলা’ ষড়যন্ত্রমূলক ছিল না। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা সঠিক ছিল।

আসামিদের পরিকল্পনা ছিল সশস্ত্রপন্থায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে মুক্ত করা।

সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংসদকে বিষয়টি জানান ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম পয়েন্ট অব অর্ডারে ফোর নিয়ে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আজ আপনার এখানে থাকার কথা নয়। কেননা আপনি ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার একজন অন্যতম আসামি। তবে এদেশের ছাত্র জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের মুক্ত করেছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব আসামিকে মুক্তি দেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ছাত্র জনতার বিশাল জন সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়। ‘

সেলিম বলেন, ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউকেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের হত্যার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

এরপর তোফায়েল আহমেদ পয়েন্ট অব অর্ডারে ফোর নিয়ে বলেন, ‘আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন। এদিন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হওয়া নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভুষিত করেছিলাম। এই ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি আপনিও ছিলেন। ’

আগরতলা মামলা দিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এরপর ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী বলেন, ‘আগরতলা মামলা ষড়যন্ত্র ছিল না, এটা ছিল সত্য। মামলাটি ছিল রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য। এই অন্যান্যদের মধ্যে আমরা ৩৪ জন ছিলাম। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন আমাদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করা হয়। সে সময় পাকিস্তানের ওই বিশেষ আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, আপনারা পাকিস্তানের পূর্বভাগ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথক করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই অভিযোগটি সত্য ছিল। ‘

এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত সদস্যরা স্পিকারের এই বক্তব্য টেবিল চাপড়িয়ে স্বাগত জানান।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।