ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ইংল্যান্ডের মাদাম তুসো জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতি স্থাপনের চেষ্টা চলছে। নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদে একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে এবং ২০০৯ সালে মাদাম তুসো জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অধিক মুনাফা লাভের জন্য বর্তমানে ওই জাদুঘরে রাজনীতিবিদদের চেয়ে চিত্র তারকা, খেলোয়াড় ও পপতারকাদের প্রতিকৃতি স্থাপনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে ওই জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের প্রতিকৃতি স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বের কোনো দেশের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি হয় নাই। তবে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ‘এগ্রিমেন্ট ট্রান্সফার অব সেনটেন্সড পারসনস’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী ২ দেশের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইচ্ছা করলে সাজার মেয়াদ নিজ দেশে ভোগ করতে পারবে।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান ও কাতারের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। বন্দী বিনিময় চুক্তির প্রস্তাব পেলে বা আমাদের পক্ষ থেকে বন্দী বিনিময় চুক্তি করার প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে জানান, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয় নিষ্পত্তির জন্য ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে ৪ হাজার ১৪৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমানা ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। বাকি সাড়ে ৬ কিলোমিটার সীমানাসহ অনিষ্পন্ন বিষয় সমাধানের জন্য দুই দেশের একটি ‘জয়েন্ট বাউন্ডারি ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। তিনি বলেন, মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানার বিরোধ আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
অপু উকিলের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে জানান, ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী ভারত এখনো ৩ বিঘা কড়িডোর বাংলাদেশের কাছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় নাই। তবে বিষয়টি আশু সমাধানের জন্য বিভিন্ন মহলে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। সাধনা হালদারের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে জানান, বঙ্গোপসাগরের অমীমাংসিত মহিসোপানে বাংলাদেশের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এবিএম গোলাম মোস্তফার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে জানান, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১১২ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারের ১০৭ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছে।
বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে জানান, বর্তমানে বিদেশে ৪৯টি এবং দেশে বাংলাদেশের ৫৯টি কূটনৈতিক দফতর রয়েছে।
মোছাম্মৎ ফরিদা আখতারের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক-কূটনীতি জোরদার করার লক্ষ্যে সরকারের ৬টি পদক্ষেপ সম্পর্কে সংসদকে অবহিত করেন।
অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদকে জানান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য পাঠানোর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১