নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুরে দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য সৌদি আরব থেকে আসা দুম্বার মাংস উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সরকারদলীয় স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। ফলে বুধবার বিতরণ করা কোনো মাংসই প্রকৃত গরিব-দুস্থদের ঘরে পৌঁছেনি।
মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সালাহ উদ্দিন আল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য বুধবার বিকেলে প্রক্রিয়াজাত ১০৭টি দুম্বার মাংস আসে। স্থানীয় এমপির নির্দেশে প্রত্যেক ইউনিয়নে ৪টি করে ৪০টি, দলীয় নেতাকর্মীদের ৪০টি এবং বাকি ২৭ টি উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
মাংস যাতে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে না পড়ে সেজন্যই দ্রুত বিতরণ করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান দুলাল জানান, তারা মাত্র ৪টি দুম্বার মাংস পেয়েছেন। এতো অল্প মাংস দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করতে মেম্বাররা হিমশিম খেয়েছেন।
চাঁন্দাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন মণ্ডল জানান, প্রতিবার আসা দুম্বার মাংসের সবগুলোই ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রামের প্রকৃত দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু এবার ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, দুম্বার মাংস প্রকৃত দুস্থরা পায়নি বললেই চলে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, মেম্বাররা দুস্থদের কোনো খবরই জানাননি। কর্মকর্তা, কর্মচারী, চেয়ারম্যান, মেম্বার এমনকি একশ্রেণীর সাংবাদিক মাংসের কার্টনগুলো খুলে ভাগাভাগি করে নেওয়ার সময় দু’একজন দুস্থ সেখানে উপস্থিত হলে তাদের যৎসামান্য দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আখতারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সৌদি থেকে আসা দুম্বার মাংস প্রতিবার দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হলেও এবার কাদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে সে ব্যাপারে তিনি কোনো চিঠি পাননি।
বিষয়টি এলাকার জনমনে দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। উপজেলা সদরে বুধবার বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১