মাগুরা: হায়রে মোছো বাঘ! নিস্তার পেলো না গাছে উঠেও। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে প্রাণ দিলো মানুষের হাতে।
সোমবার মেছো বাঘের এই মর্মান্তিক প্রাণ সংহারের ঘটনা ঘটে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের মনিরামপুরে। একই দিন শালিখা উপজেলার শরুশুনা গ্রামে চিত্রা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়।
মনিরামপুরের এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেছো বাঘটি মনিরামপুর গ্রামের হাতেম আলীর বাড়ি লাগোয়া বাগানে একটি ছাগলের ওপর আক্রমণ চালায়। গ্রামবাসী টের পেয়ে লাঠিসোঠা নিয়ে বাঘটিকে ধাওয়া দেয়। প্রাণ বাঁচাতে এক পর্যায়ে বাঘটি গাছে উঠে পড়ে। এ সময় এলাকাবাসী বাঘটিকে সড়কি-বল্লম দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এতে বাঘটির পেট ও বুকের কাছে মারাত্মক যখম হয়। পরে আমরা এটিকে চিকিৎসার জন্য মাগুরা পশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। ’
মাগুরা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনোজিৎ কুমার মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন,‘ মুমূর্ষু অবস্থায় বাঘটিকে সোমবার দুপুরে জেলা পশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকাল ৪টার দিকে বাঘটি মারা যায়। বল্লমের কোপে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেরই বাঘটির মৃত্যু হয়েছে। ’
অপরদিকে শালিখা উপজেলার শরুশুনা গ্রামের চিত্রা নদী থেকে সাড়ে সাত ফুট লম্বা একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।
শরুশুনা গ্রামের হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকালে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী চিত্রা নদীর বাবুর ঘাটে গোসল করতে গেলে ডলফিনটিকে ভাসতে দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় শত শত লোক ডলফিনটি দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় জমায়। দুপুরে ডলফিনটিকে জেলা বন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলা বন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার মিত্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটি মিঠা পানির শুশুক প্রজাতির ডলফিন। বনবিভাগের নিজস্ব জাদুঘরে রাখার জন্য ডলফিনটিকে আজই (সোমবার) ঢাকায় পাঠানো হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১