ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য, সংস্কৃতি ও উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অনীল সরকার বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে কর্পোরেট ভাষার ভীড়ে যখন বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে তখন ২১`শের চেতনা সারা বিশ্বের মানুষকে তাঁর মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা দিচ্ছে।
একুশের সোনালী ফসল ঘরে তুলেছি আমরাও।
আনন্দঘন পরিবেশে ত্রিপুরার কয়েকজন কবি আবৃতি করেন একুশের কবিতা।
এ সময় দু`দেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব বিনয় কুমার, আগরতলা পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্ত্তী, নৃত্যগুরু উমা শঙ্কর চক্রবর্ত্তী, কবি দেবব্রত রায়, সমালোচক রামেশ্বর ভট্টাচার্য, প্রবীণ সাংবাদিক রবিন সিং, জাতীয় গ্রন্থাগারের পে অমিতা চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের নজরুল গবেষক দৈনিক আমদের কুমিল্লার সম্পাদক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, অধ্য বিধান কুমার চন্দ্র, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সদস্য ফরিদ আহমেদ, কুমিল্লা উদীচীর সভাপতি উত্তম কুমার ঘোষ, যাত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি সফিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুন নুর প্রমুখ। দু`দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় হয়।
দু`দেশের প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে ত্রিপুরার আগরতলা ইমিগ্রেশন এলাকায় ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতেও অনীল সরকার অতিথি ছিলেন। এ বছর ত্রিপুরার বীরচন্দ্র রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প থেকে ১৯৬১ সালের ১৯ মে ভাষার জন্য ভারতের বরাক উপত্যকার শিলচরে নিহত শহীদদের সম্মাননা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৬ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১