ঢাকা: রাজধানীতে এবার ৭ বছরের একটি মেয়েশিশু ধর্ষকের বর্বরতার শিকার হয়েছে। তার নাম সুমাইয়া আক্তার।
এ নিয়ে রাজধানীতে গত তিন দিনে ৩টি শিশু এমন পাশবিকতার শিকার হল।
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ সোমবার ভোর ৪টায় পাশবিকতার শিকার শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে।
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের ইনচার্জ বিলকিস বেগম বাংলানিউজকে জানান, ভোরেই শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে।
রক্তক্ষরণজনিত কারণে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আবু জাফর জানান, শিশুর পিতা মো. মানিক বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পরই শিশুধর্ষক নাসির মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপ-পরিদর্শক আরো জানান, মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাগ আজিজ খান রোডে জনৈক হাসেম খানের বস্তিবাড়িতে এ পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। একই বস্তিবাড়িতে রিকশা চালক মানিক ও নাসিরসহ কয়েকটি পরিবারের বসবাস।
রোববার বিকেলে ঘর ফাঁকা থাকার সুযোগে নাসির মিয়া খেলার ছলে শিশু সুমাইয়াকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখ চেপে ধরে নির্মমভাবে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এতে গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণসহ সুমাইয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে নাসির তাকে অন্য ঘরে ফেলে রিকশা চালানোর কাজে বেরিয়ে যায়।
স্থানীয় চিকিৎসকদের সাহায্যে সুমাইয়াকে সুস্থ করার চেষ্টা চালালেও ক্রমেই তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। রাতেই বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানায় শিশু ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন মানিক। পুলিশ সোমবার ভোরে শিশু সুমাইয়াকে উদ্ধার ও ধর্ষক নাসির মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সুমাইয়ার পিতা মানিক জানান, ভোর থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়েও তার মেয়ের জ্ঞান ফেরেনি। তিনি এ নির্মমতার কঠোর বিচার দাবি করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১