ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ রেলের সময়সূচিতে বিপর্যয় যাত্রীদের ভোগান্তি

সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১
বাংলাদেশ রেলের সময়সূচিতে বিপর্যয় যাত্রীদের ভোগান্তি

ঢাকা: একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা ছিলো রোববার রাত নয়টা ১০ মিনিটে। কিন্তু  ছেড়েছে সোমবার সকাল সাড়ে আটটায়।

অথার্ৎ প্রায় এগারো ঘণ্টা দেরিতে।

দুপুর পর্যন্ত একতা ঢাকায় এসে পৌঁছেনি বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই ট্রেনটির ঢাকা থেকে আবার দিনাজপুরে ছেড়ে যাবার কথা ছিলো সকাল নয়টা ৫০ মিনিটে।

সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে আসার কথা রাত ১০টায়। কিন্তু সেটিও সিলেট থেকে ছেড়েছে প্রায় তিনঘন্টা দেরিতে। ফলে সকাল পাঁচটায় ঢাকায় পৌছানোর কথা থাকলেও ট্রেনটি ঢাকায় পৌছেছে সকাল ৮টায়।

সূত্র জানায়, সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ের অধিকাংশ ট্রেন ন্যূনতম ৩৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ এগারো ঘন্টা দেরিতে সংশ্লিষ্ট স্টেশন ছেড়েছে বা পৌছেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে তুর্ণা ট্রেনটি রাত এগারোটায় ছেড়ে আসার কথা। আর ঢাকায় পৌছানোর কথা ছিলো ৬টা পনের মিনিটে। কিন্তু তা চট্টগ্রাম থেকে ছেড়েছে ৪০ মিনিট দেরিতে। আর ঢাকায় পৌছেছে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে। অর্থাৎ সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে তুর্ণা ঢাকায় পৌছায়।

একই ট্রেন সাতটা ৫০ মিনিটে আবার ঢাকা ছেড়ে (মহানগর) চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাবার কথা থাকলেও তা প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে ছেড়েছে। ট্রেনটি ঢাকা ছেড়েছে ১১টা ২০ মিনিটে।

জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট চলাচলকারি পারাবত, ঢাকা-নোয়াখালীর উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-বাহাদুরাবাদের ব্রহ্মপুত্র, ঢাকা-ঠাকুরগাঁও’র যমুনা এক্সপ্রেসসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জোনের অধিকাংশ ট্রেন সোমবার সময় মতো সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে ছাড়েনি।

সময়সূচি অনুযায়ি পৌছাতে পারেনি বলে নির্ধারিত সময় মতো আবার ছেড়েও যেতে পারেনি।

একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির দেরির ব্যাপারে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, ইঞ্জিন সমস্যার কারণে মূলত: ট্রেনটি দেরিতে ছেড়েছে। এছাড়া কোনো কারণে একটি ট্রেন সময়সূচি ভঙ্গ করলে তা অন্য ট্রেনগুলোর সময়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা করে।

নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, অনেক ট্রেন একই ইঞ্জিনে চলে। ফলে তা গন্তব্যে পৌছানোর পর চেক করতে হয়। বড় কোনো সমস্যা দেখা দিলে তখন দেরিতে ছেড়ে যাওয়া সেটির আর কিছু করার থাকে না।  

প্রধান ট্রেন নিয়ন্ত্রক (কন্ট্রোলার) মো. ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ট্রেনের ইঞ্জিনের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় কম। আবার অনেক সময় ইঞ্জিনগুলোর দু’একটা বিকল হয়ে পড়ে। ফলে তখন সময়সূচি মেনে ট্রেন চালানো যায় না।

তিনি বলেন, অনেক সময় ইঞ্জিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও সময় লেগে যায়।      

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো.তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ‘আমি আজ বাসায় আছি। তাই কোন কথা বলব না। আপনি মহাব্যবস্থাপককে (পূর্ব)  টেলিফোন করুন।

তার পরামর্শ মতো মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধাকে রিং করলে তিনি  মুঠোফোনে  কোন কথা বলতে রাজি হননি।    

এদিকে সময় বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের পড়তে হয়েছে ব্যাপক ভোগান্তিতে। তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ২১ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad