ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিন টাকার ভাড়া পাঁচ টাকা রাখায়...

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১

ঢাকা : ‘বিশ্বাস করেন স্যার, আমার কাছ থেকে তিন টাকার বাস ভাড়া পাঁচ টাকা রাখায় মাথায় রক্ত চড়ে যায়। রাগ থামাতে পারিনি বলেই বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই বাস হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ইচ্ছামতো পিটাই।

সে যাতে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে না পারে এজন্য তার মুখের ভেতরে গামছা ঢুকিয়ে দেই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি বাস হেলপারটা আর নড়াচড়া করছে না। রাস্তার পাশে ফেলে রেখেই আমরা পালিয়ে যাই। ’

রোববার পুলিশের কাছে এভাবেই বাসের হেল্পার আলমগীরকে হত্যার কথা বর্ণনা করে গ্রেপ্তার রনি মিয়া (২২)।

 উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ভোরে আলমগীরের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরেই আসামিরা ছিলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

গত শনিবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রনি মিয়াসহ ৬ জনকে ডাকাত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে।

এসআই কুদ্দুস বাংলানিউজকে জানান, টহল ডিউটিকালে রাত চারটার দিকে ডাকাতির উদ্দেশে রনি ও তার সহযোগীরা পুলিশের গাড়িটিকে ঘিরে দাঁড়ায়। কিন্তু গাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

গ্রেপ্তার অন্য ৫ জন হচ্ছে- ফয়সাল (১৮), হাফিজুল ইসলাম রিংকু (১৮), রকি (১৮), রনি হোসেন (২০) ও হাসান মিয়া (১৮)।

এদের রোববার দুপুরে ডিএমপির ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হকের সামনে হাজির করা হলে রনি মিয়া ডাকাতির কথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি আলমগীরকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা তুলে ধরেন।

এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের সাংবাদিকদের সামনেও হাজির করা হয়।

এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আলমগীর কবীর, সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, অপারেশন অফিসার রেজাউল করিম ও যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।