ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে

ঢাকা: অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশ উদযাপন কমিটি।

শনিবার অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন-২০১১ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং একুশ উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক মো আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর ড. কেএম সাইফ্লু ইসলাম খান প্রমুখ।

সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ২০ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ১০টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত দোয়েল চত্ত্বর থেকে শিববাড়ী মোড় এবং জগন্নাথ হল সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এজন্য রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুধু নিরাপত্তা পাশধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল সংলগ্ন দোয়েল চত্বর দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিক দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।

নিরাপত্তার স্বার্থে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অমর একুশে স্টিকারযুক্ত গাড়িগুলো দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অবস্থান করতে পারবে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, আজিমপুর, দোয়েল চত্বর, ঢাকা মেডিকেল ও আশপাশের এলাকায় চলাচলকারী গাড়ির মালিক ও চালকদের ওইদিনের প্রযোজ্য রোডম্যাপ অনুসরণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ নিয়েদনের পর্যায়ক্রমও উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ। একুশের প্রথম প্রহরে প্রথম পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শহীদ বেদীতে পুপস্তবক অর্পণ করবেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন-ভাষাসৈনিকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, বিদেশি সংস্থাগুলোর প্রধানবৃন্দ, সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর প্রধানগণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট ও শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধাবৃন্দ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ও ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি ছাত্রবৃন্দ।

তৃতীয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে  আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর শহীদ মিনারের উত্তর-পশ্চিম দিকে সর্বসাধারণ পু®পস্তবক অর্পনের সুযোগ পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে থেকে সবাইকে শ্রদ্ধানিবেদনের ক্রমানুসরণ করে সুশৃঙ্গলভাবে সবাইকে শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে প্রতিবছর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এবছর এ দিবস সুষ্ঠভাবে পালনে কেন্দ্রীয় সনম্বয় কমিটির সাথে ১১ টি সাব কমিটি কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ফের্রুয়ারি ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।