ঢাকা: মন্থর প্রশাসনকে গতিশীল ও কর্মস্পৃহ করতে সরকারের প্রশাসন পদ্ধতিকেই পাল্টে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নিয়োগ ও চাকুরির মেয়াদ সম্বন্ধে নিজের দেওয়া প্রস্তাব তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রশাসনে একজন কর্মকর্তা ১০ থেকে ১৫ বছর চাকরি করার পর অবসর নেবেন।
অর্থমন্ত্রী মনে করেন এমনটি করা হলে প্রশাসনের কাজে গতি আসবে এবং সরকারের এজেন্ডাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। কিন্ত বর্তমান ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অযথা বিলম্ব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ নিয়ে বারংবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী রাজনৈতিক দল বা ক্ষমতার পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়োগও বাতিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রশাসনে নিয়োগ হবে রাজনৈতিক । এমন ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে প্রচলিত আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে যে দল ক্ষমতায় আসে সে দল নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে প্রশাসন ঢেলে সাজায়। সেদেশের প্রশাসনের অস্থায়ী পদগুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় লোক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজেদের এজেন্ডার বাস্তবায়ন ও প্রশাসনকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী চালানোর জন্য।
শনিবার ম্যানেজিং অ্যাট দ্য টপ (ম্যাট) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কাছে অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবটি তুলে ধরেন। তার এ প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য প্রশাসনকে গতিশীল করে সরকারের এজেন্ডাগুলোর সময়ানুগ বাস্তবায়ন।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই উঠে এসেছে: ‘যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারাই নতুন করে প্রশাসনে নিয়োগ দেবে। এতে জনপ্রশাসন গতিশীল হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনে রাজনীতিকরণ বন্ধ হবে। ’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
সংস্থাপন সচিব ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক।
বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিএফআইডি)’র যৌথভাবে ম্যাট প্রকল্পে সহায়তা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১