ঢাকা: অভিন্ন নদীর পানিবন্টনের বিষয়গুলো দ্রুতই ফয়সালা করতে আগ্রহী ভারত। বিশেষ করে তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বন্টনের কাজ খুব শিগগির সমাধানে পদক্ষেপ নেবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে দেশটি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ এ আশ্বাস দেন।
নয়াদিল্লি সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ এইচ মাহমুদ আলীকে গত বৃহস্পতিবার এ আশ্বাস দেন তিনি।
নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরী শুক্রবার বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
এএইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল ভারত সফরে রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলটি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াদিল্লির অশোক হোটেলে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নিরীহ বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ, তিন বিঘা করিডোরে অবারিত চলাচলের বিষয়গুলো তুলে ধরেন এএইচ মাহমুদ আলী।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সড়ক সংযোগ, চট্টগ্রাম বন্দরের আঞ্চলিক ব্যবহার, বাণিজ্য বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চিলাহাটি- হলদিবাড়ি ও কুলাউড়া- মহিষাশুন রেলপথ পুনঃস্থাপনের জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান মাহমুদ আলী। তিনি ভারতীয় মন্ত্রীকে জানান, ভারতের দেওয়া এক বিলিয়ন ডলার ঋণের অর্থে সৈয়দপুর রেলকোচ ফ্যাক্টরির আধুনিকায়ন করা হবে।
এনামুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদীগুলোর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা ও পূর্বাঞ্চলের ফেনী নদীর পানি বন্টনের কাজ খুব দ্রুতই ফয়সালা করতে আগ্রহী ভারত। এ ব্যাপারে সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাসও দেন। ’
‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে সহযোগিতা’ বিষয়ক এক মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রতিনিধিদলটি নয়াদিল্লি গেছেন। শুক্রবার শুরু হয়ে এ সম্মেলন শনিবার শেষ হবে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহমেদ করিম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন প্রমুখ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১১