নওগাঁ: নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় এক ঠিকাদারকে জবাই ও এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ঠিকাদার নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর পুত্র জুবায়ের হোসেন লিটন (২৫)।
তার পিতা জানান, লিটন ছাত্রলীগ নেতা। তিনি টেন্ডারের শেডিউল দাখিল করার জন্য মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। বুধবার সকালে পার-বোয়ালিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে তার জবাই করা ও হাত-পায়ের রগকাটা ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে ছিল।
নওগাঁ সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল ওয়াহেদ দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তিনি জানান, এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশের ধারণা, ঠিকাদারি কাজের ভাগ-বাটোয়ারা কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা তাকে জবাই করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
আগের দিন একই গ্রামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বোয়ালিয়া গ্রামের নওগাঁ জেলা জজ আদালতে কর্মরত জারিকারক রইচ উদ্দিন জানান, তার মেয়ে রোকসানা আক্তার মুক্তার (২২) সাথে বোয়ালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত লোকমান ফারুকের ছেলে মোনায়েম ফারুক তাজুর ৫ বছর আগে বিয়ে হয়।
কয়েক মাস আগে বেকার তাজু তার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এছাড়া তিনি মোকরামপুর গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মুক্তা এতে বাধা দিলে তাজু প্রায়ই তাকে মারধর করতেন।
মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তার ঘরে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে তড়িঘড়ি করে তাজু পালিয়ে যায়।
সন্ধ্যায় নওগাঁর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, নওগাঁ সদর মডেল থানার এসআই সামসুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বুধবার লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৩ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১