চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ‘অর্কিড বিজনেস হোটেল’ নামে নুতন ঘরানার তিন-তারকা হোটেল।
নগরীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র আগ্রাবাদ এলাকায় পর্যাপ্ত পার্কিং এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা নতুন এই হোটেল আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হচ্ছে।
আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলে হোটেলটি উদ্বোধন করা হলেও মূলত ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবাদানের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে তুলে ধরা এবং ব্যবসায়িক সফলতা লাভ এই হোটেল তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেমসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা হোটেলটির সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
এসময় পুলিশ কমিশনার অর্কিড বিজনেস হোটেলের প্ল্যাটিনাম, গোল্ড স্যুইট ডিলাক্স রুম, বিজনেস সেন্টার, সুইমিং পুলসহ পুরো হোটেল ঘুরে দেখেন।
এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) কুসুম দেওয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমেনা বেগমসহ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডবলমুরিং) এস এম তানভীর আরাফাত উপস্থিত এসময় ছিলেন।
ভিন্ন ধারার হোটেলটির বিশেষত্ব সম্পর্কে এর চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ অহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব ধরনের ব্যাবসায়িক সুযোগ-সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই হোটেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের স্লোগান হচ্ছে -‘বেস্ট বুটিক হোটেল ইন চিটাগাং’।
তিনি আরও বলেন, বিজনেস সেন্টার, কনফারেন্স রুম, হেলথ কাব, সুইমিংপুলসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই হোটেলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে প্রমোট করতে চাই আমরা।
ব্যবসায়ী এবং হোটেলের সদস্যরা যাতে কক্ষে বসেই ইন্টারনেট সার্ভিস পেতে পারেন সেজন্য হোটেলের প্রতি ফোরে ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে। এছাড়া যাদের ল্যাপটপ নেই তাদের জন্য রয়েছে বিজনেস সেন্টার।
এই সেন্টারে পর্যাপ্ত কম্পিউটার রাখা হয়েছে যার মাধ্যমে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দেওয়া হবে। তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ছাড়াও রাখা হয়েছে শরীরচর্চার আধুনিক উপকরণের সমন্বয়ে হেলথ কাব, বারবার শপ, স্যুভেনির শপ।
সুউচ্চ এই হোটেলের ছাদের সুইমিং পুলে কিংবা বিকেলে ছাদে বসে বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি শেফ টমি মিয়ার তৈরি বারবিকিউ খেতে খেতে শহরের দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।
প্রতি মাসের এক সপ্তাহ তিনি হোটেলে থাকবেন এবং তাঁর রেসিপি অনুযায়ী বাংলাদেশি, চাইনিজ, থাই ও ইন্ডিয়ান খাবার থাকবে।
চীনের তৈরি ফার্নিচার ও দেয়ালে বাংলাদেশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সমন্বয়ে অর্কিড সুইট, এক্সিকিউটিভ টুইন, এক্সিকিউটিভ ডিলাক্স ও ডিলাক্স এই চার ভাগে কক্ষগুলো সাজানো হয়েছে।
এসবের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সুবিধা রয়েছে অর্কিড স্যুইটে। এই স্যুটে ডাবল বেডের একটি রুমের পাশাপাশি রয়েছে একটি সিঙ্গেল রুম, ড্রইং কাম ডাইনিং রুম ও কিচেন ফ্যাসিলিটি। এই স্যুটের দৈনিক ভাড়া ২শ’ ডলার। এই ধরনের স্যুট রয়েছে পাঁচটি।
এছাড়া ডাবল বেডের ২১টি এক্সিকিউটিভ টুইন করে প্রতিটির ভাড়া দৈনিক ৮০ ডলার, ৭টি এক্সিকিউটিভ ডিলাক্সের প্রতিটির ভাড়া দৈনিক ৭৫ ডলার এবং ডাবল বেডের ১৪টি ডিলাক্স করে প্রতিটির ভাড়া ৭০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
হোটেলের অন্যান্য আরও যেসব সুবিধা যোগ করা হবে সেসব হচ্ছে বার সুবিধা, স্পা, সুনা, টেনিস কোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১