ঢাকা : মামলার আঠারটি তারিখ পার হলেও শুরু হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পেতে রাখা ৭৬ কেজি বোমা উদ্ধার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত বছরের ১৬ আগস্ট মামলাটি ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর মামলাটি পুনরায় তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বদলি করা হয়।
এরপর গত ১৩ ডিসেম্বর মামলাটির বিচার শুরু হয়ে দুইটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ১৮টি তারিখ পার হলেও কোনো সাক্ষী আসেনি। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে।
দুই নম্বর দ্রুত বিচার আদালতে বিচারক না থাকায় বন্ধ ছিল মামলাটির বিচার। অবশেষে বদলির চারমাস পর গত ১৩ ডিসেম্বর তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়েই বিচার শুরু করা হয়।
কিন্তু তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক কানিজ আক্তার নাসরিনা খানম অবসরে গেলে চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক রেজাউল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দ্রুত বিচার দুই, তিন ও চার নম্বর ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে আছেন।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা শুরুর ১৩৫ কার্য দিবসের মধ্যে মামলা বিচারকাজ শেষ করতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা সম্ভব না হলে ঢাকা মামলাটি পুনরায় গোপালগঞ্জের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠাবে।
মামলাটির ধীরগতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ সরকারি উকিল সৈয়দ শামসুল হক বাদল বাংলানিউজকে জানান, মামলাটির শুরু থেকেই বিচারক নেই। ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়েই বিচারকাজ চলছে।
ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিজের আদালত নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত আদালতের বিচারিক মামলা করতে চান না। সাক্ষী আনতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানকে দেশের বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার কারণে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে যাচ্ছে। আদালতের বিচারক শুন্যতা কবে পূরণ হবে তাও জানেন না তিনি।
২০০০ সালের ২২ জুলাই শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার শেখ লুৎফর রহমান কলেজ মাঠে একটি জনসভায় ভাষণ দেবার কথা ছিল।
জনসভার প্যান্ডেল করার প্রস্তুতির সময় ২০ জুলাই সকালে শেখ লুৎফর রহমান কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকানঘরের সামনে থেকে ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নুর হোসেন বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় বিস্ফোরক আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় মুফতি হান্নানসহ ৯ আসামি কারাগারে, একজন জামিনে ও ১৫ জন পলাতক আছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১