ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকায় টেলিকনসাল্ট সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে গ্লোবাল হসপিটাল গ্রুপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১

ঢাকা: চিকিৎসা বিষয়ক বাংলাদেশের কনসাল্টেন্সি ফার্ম ট্রেডসর্থ লিমিটেড এবং মেডিকন্সাল্টকে নিয়ে ঢাকার মতিঝিলে একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিকনসাল্ট সার্ভিস শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছে ভারতের গ্লোবাল হসপিটাল গ্রুপ।

রোববার সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ট্রেডসর্থ লিমিটেড আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভারতের গ্লোবাল হসপিটাল গ্রুপের হেড এবং চিফ সার্জন ডিপার্টমেন্ট অব এইচপিবি ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি প্রফেসর মোহাম্মদ রেলা।



তিনি জানান, যেসব রোগী ভারতের গ্লোবাল হসপিটালের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না, তাদের জন্যই এ টেলিকন্সাল্ট সার্ভিস। এ সার্ভিস সেন্টারে বিশ্বের সর্বাধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে, যার মাধ্যমে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ টেলিকনসাল্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্লোবাল হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীদের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান প্রফেসর রেলা।

তিনি জানান, গ্লোবাল হসপিটাল গ্রুপ হচ্ছে, ভারতের সবচেয়ে বড় মাল্টি অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার।
ভারতে এর ৯টি হাসপাতাল রয়েছে। সব মিলিয়ে বেড আছে দুই হাজারটি।

এসব হাসপাতালে রয়েছে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, স্পি­ট লিভার, অক্সিলিয়ারি লিভার, লিভিং ডোনার, ক্যাডাভার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা।

গ্লোবাল হসপিটাল গ্রুপে রয়েছে, একটি পূর্ণাঙ্গ লিভার ডিজিজ ম্যানেজমেন্ট এবং ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম। এ পর্যন্ত তারা ২শটি সফল লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছে ।

লিভার ছাড়াও বাইপাস সার্জারি, পিন হোল স্পাইন সার্জারি, কী হোল সার্জারি, মাল্টি অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট (কিডনি, হার্ট, লাঙ্গস), বোন ম্যারো চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতাল বিখ্যাত বলে জানান প্রফেসর মোহাম্মদ রেলা।

এ সময় বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণাঞ্চলে লিভার (যকৃত) এবং প্যানক্রিয়েটিক (অগ্নাশয়)-এর বিভিন্ন রোগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।


বাংলাদেশ এবং ভারতে লিভারের বিভিন্ন রোগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ার কারণ হিসেবে এ অঞ্চলের মানুষের খাবার মেন্যুতে শর্করা জাতীয় খাবার বেশি থাকাকে দায়ী করেন তিনি।

এছাড়া খাবার তালিকায় প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার কম থাকার কারণে এ অঞ্চলের মানুষের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

সময় মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিলে লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার রোগীর শতকরা ৯০ ভাগ সুস্থ হওয়ার সুযোগ থাকে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের গ্লোবাল হসপিটাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. কে রবীন্দ্রনাথ, ট্রেডসর্থ-এর চেয়্যারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।