টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মাইক্রোবাস নিয়ে ডাকাতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ ও জনতা।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা নামকস্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মাইক্রোবাস চালক মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মালেক মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া (৪০), সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কার্তিকের ছেলে মোকলেছ (২৪), চট্টগামের সন্দীব উপজেলার কালাবানিয়া গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে আফছার উদ্দিন (৩৮), বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাট উপজেলার কোদাইলা গ্রামের জনাব আলীর ছেলে রনি (৩৫) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শিয়াইল গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে ইলিয়াস (৩৫)।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডাকাতরা ছদ্মবেশে ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে ৫ যাত্রীকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ১৫শ টাকা ভাড়ায় (ঢাকা- মেট্রো-চ ১১-৭৫৬১) মাইক্রোবাসে তোলে। পথিমধ্যে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় পৌছালে ছদ্মবেশী ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের মারপিট করে সর্বস্ব লুটে নিতে থাকে।
এসময় যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় জনতা ঘটনাটি টের পেয়ে মাইক্রোবাসটি আটকানোর চেষ্টা করে। এসময় ডাকাতদল দেওহাটা এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে এক যাত্রীকে ফেলে দিয়ে বিপরীত দিকে পালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মহাসড়কের সোহাগপাড়া নামকস্থানে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড দেয়। পরে ডাকাতদল পূনরায় মাইক্রোবাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। এখবর মির্জাপুর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাকলাইন জানতে পেরে স্থানীয় জনগণ নিয়ে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা নামকস্থানে ব্যারিকেড দিয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করে। এসময় জনতার গণপিটুনিতে ডাকাত সদস্যসহ যাত্রীরাও আহত হয়।
মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দেওয়া যাত্রী আসাদ মিয়াকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেরার গঙ্গাচড়া উপজেলার গোদাই গ্রামে।
এব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, আটককৃত ৫ ডাকাতই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৪