ঢাকা: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পাঠক ও দর্শকরা গণমাধ্যমকে তথ্য প্রকাশে স্বাধীন হিসেবে দেখতে চায়। তারা দলীয় ও মালিকদের স্বার্থের উর্ধ্বে ওঠে বস্তনিষ্ট সংবাদ পেতে আগ্রহী।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য খায়রুল আনোয়ার মুকুল।
আলোচনা সভায় ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার দ্বৈত সংকট ও উত্তরণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইঁয়া।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কেক কেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ২৫ বছর পূর্তি উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন , ‘সাংবাদিকতার সূচনাকালে সংবাদপত্র প্রকাশ সৎকাজ হিসেবে বিবেচিত হতো। মিশনারীরা এ কজে লিপ্ত ছিলেন। ’
তিনি বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করে বলেন, ‘সংবাদপত্র প্রকাশের দায়িত্ব এখন ব্যবসায়ীরাই হাতে তুলে নিয়েছে। ’
বিশ্বে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ আর্ন্তজাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থান ১২৬তম। আর দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের অবস্থান বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে। তাই আমাদের গণমাধ্যমকে আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে হবে। ’
ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ সাংবাদিকতার মূল বিষয় হলো তার বস্তুনিষ্ঠতা ও স্বাধীনতা। এ পেশা সঠিকভাবে বিকশিত করতে চাইলে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে স্বাধীনতার পথে হাটতে হবে। ’
আজকের সমাজ তথ্য সমাজ আখ্যায়িত করে তিনি সাংবাদিকদের সত্য অন্বেষণের আহ্বান জানান।
বিকাল ৩টায় সমিতির প্রাক্তন সদস্যদের স্মৃতিচারণ ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১