ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ইউআইডি’কার্ডের সৌজন্যে অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন ভারতীয়রা

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১

কলকাতা : ভারতের প্রত্যন্ত এক গ্রামের গরীব কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।   সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে তারা দাঁড়িয়েছেন  অস্তিত্বের অনুমোদন পাওয়ার জন্য।

সরকারি কাউন্টার থেকে মিলছে একটি ফর্ম। ফর্ম পূরন হলে তোলা হচ্ছে ছবি, নেওয়া হচ্ছে আঙুলের ছাপ। গৃহীত যাবতীয় তথ্য কমপিউটারে আপলোড করার কয়েক সপ্তাহ পর পাওয়া যাচ্ছে  নম্বরসহ একটি বিশেষ পরিচয় পত্র।

না, এটা কোন গল্প নয়। বাস্তবে সত্যি ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ স্যোশাল সিকিউরিটি নাম্বার’-এর আদলে ভারতের প্রতিটি নাগরিককে ইউনিক আইডেন্টিটি নাম্বার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।

সাবে ইউফোসিস আধিকারিক নন্দন নিলেকোনির নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে  কমিটি -ইউনিক আইডেন্টিফিকেশান অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। শেষ হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘ এই কার্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশী সুরক্ষিত। কেননা প্রতিটি নম্বরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে একটি বায়োমেট্রিক মার্কার বা কমপিউটারের ব্যবহারের উপযোগী জৈবতথ্য, যেমন আঙুলের ছাপ বা চোখের মনির পরীক্ষা। ’

প্রকল্পের প্রধান নন্দন নিলেকোনি জানিয়েছেন, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে অনেকের কাছেই উপযুক্ত তথ্যপঞ্জী নেই। বহু মানুষ নিজের জন্ম তারিখ, এমনকী পদবীও ঠিকমতো বলতে পারে না। সেখানে এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের কাছে ফলপ্রদ হবে। এর ফলে ব্যবসা - বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তথ্য যাতে নকল না হয় তার জন্য বারে বারে যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাস থেকে দশ লাখ মানুষ এই কার্ড পাওয়ার জন্য নাম নথীভুক্ত করেছেন। প্রতিদিনই বহু মানুষ এ বিষয়ে জানতে আসছেন সরকারি দফতরগুলিতে। ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর জনপ্রিয়তা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘন্টা,  ফেব্রুয়ারি, ১১  ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।