ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় উত্ত্যক্তকারীর হাত থেকে বাঁচতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

শাহীন রহমান, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১

পাবনা: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় এক উত্ত্যক্তকারীর হাত থেকে নিজের ও পরিবারের সম্মান রার্থে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ৩ সন্তানের জননী আয়শা বেগম (৪০)।

তিনি উপজেলার হিদাশকোল গ্রামের মৃত লোকমান হোসেন-এর স্ত্রী।

তার সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি কীটনাশক বিষপান করলে গুরুতর অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। উত্ত্যক্তকারীরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এবিষয়ে আটঘরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রওশন আলী দায়ের করা  মামলার বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, ওই গ্রামের অছেন ওরফে গেগন মোল্লার ছেলে দুই সন্তানের জনক শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৪৫) তার প্রতিবেশী আয়শা বেগমকে বিভিন্ন সময় অশালীন কথা ও কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন কেউ বাড়িতে ছিলেন না তখন তিনি বিষ পান করেন। পরে আয়শা বেগমের গোঙানির শব্দ টের পেয়ে আশেপাশের বাড়ির লোকজন তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।


তিনি জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নিহতের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত আয়শা বেগমের বড় ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আটঘরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উত্ত্যক্তকারী শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদকে আসামি করা হয়েছে।

এসআই রওশন আরো জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও বিষপানের কারণ জানা যায়নি। পরে বিকেলে মামলা দায়ের পর বিষপানের কারণ জানা সম্ভব হয়।

ঘটনার পর থেকে উত্ত্যক্তকারী শহিদ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান এসআই রওশন।

নিহত আয়শা বেগমের ছেলে আশরাফ বাংলানিউজকে জানান, ‘আমার মাকে উত্ত্যক্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad