ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আদমশুমারিতে আদিবাসীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্তি দাবি

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১

খুলনা: আদমশুমারিতে আদিবাসী, দলিতসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত মতবিনিময় সভা থেকে ওই দাবি জানানো হয়।

    

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী খুলনা ও সাতীরা জেলায় ৩ হাজার আদিবাসী মুন্ডা পরিবার বসবাস করে। অথচ ২০০১ সালের আদমশুমারিতে কয়রায় বসবাসকারীদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। সাতীরার শ্যামনগরের ৩০০ পরিবারকে গণনা থেকে বাদ রাখা হয়।

নগরীর অভিজাত এক হোটেলে আদমশুমারির পর্যবেণ উদ্যোগ’র আয়োজনে গণমাধ্যমে সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠন বেসরকারি সংস্থা শারির সমন্বয়কারী রঞ্জন বকশী নুপু, বন্ধনের এইচ এম জামাল উদ্দিন, হিউম্যানিটি ওয়াচের হাসান মেহেদী, শরিফুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বলা হয়, প্রতি ১০ বছর পর পর দেশে আদমশুমারি সম্পন্ন হয়। সর্বশেষ ২০০১ সালে আদমশুমারিতে মোট জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। জনসংখ্যার বৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ ধরা হলে ৮ ফেব্র“য়ারি ২০১১ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে জনসংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ কোটি ২ হাজার ৬০ জন। অথচ ২০১০ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশে জনসংখ্যা উল্লেখ করেছে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ।

আয়োজক সংগঠন ছিল শারি, হিউম্যানিটি ওয়াচ, বন্ধন, জাগরণী চক্র, আইএসডিই, অনির্বাণ, প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকার।

প্রসঙ্গত: আদমশুমারিতে শুধু জনগণনা নয়, একই সঙ্গে এতে এলাকা, বাড়িঘর, জনসংখ্যা, নারী-পুরুষ-শিশু, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পেশাসহ ২৪টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

আগামী ১৯ মার্চ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ