ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চবিতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন

শিল্পীরা সচেতন হোন, নইলে অপশক্তি এসে বলবে ‘ছবি আঁকা হারাম’: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১১
শিল্পীরা সচেতন হোন, নইলে অপশক্তি এসে বলবে ‘ছবি আঁকা হারাম’: শিক্ষামন্ত্রী

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিল্পীরা সচেতন হোন, নইলে অপশক্তি এসে বলবে ছবি আঁকা হারাম।

বুধবার সকালে তিনি এ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন।



বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম নগরীর বাদশা মিয়া রোডে সরকারি চারুকলা কলেজ এবং চবি’র চারুকলা বিভাগকে একীভূত করে গড়ে তোলা হয়েছে এ ইনস্টিটিউট।

এদিন উদ্বোধন উপলক্ষে ইনস্টিটিউটের ছায়াঘেরা, সুশোভিত ক্যাম্পাসে সকালে নগরীর চারুশিল্পী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি কর্মীদের মিলনমেলা বসেছিল।

সকালে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে রক্তকরবী সংগঠনের সংগীত পরিবেশন, আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শুরু হয় মূল আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, সমাজ, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে গণমুখিতা ও দেশপ্রেমের মধ্য দিয়ে শিল্পীদের নিজ শিল্পকর্মের বিকাশ ঘটাতে হবে। অনেকে মনে করেন আমি শিল্পী, গণতন্ত্র কিংবা রাজনীতি দিয়ে কী করব? তাদের সে চিন্তা ভুল। শিল্পীরা সমাজ, রাজনীতি ও গণতন্ত্র নিয়ে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে কোনও একদিন হয়তো কোনও অপশক্তি বলতে পারে ‘ছবি আঁকা হারাম’।

এ সময় তিনি নতুন শিক্ষানীতি নিয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা কোনও দলীয় শিক্ষানীতি করিনি, জাতীয় শিক্ষানীতি করেছি। শিক্ষানীতি করার আগে বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বুদ্ধিজীবী, আলেম ও ওলামাদের মতামত নিয়েছি। এজন্য জোট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে এ শিক্ষা নীতিকে সমর্থন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে যত শিক্ষানীতি হয়েছে সবগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। এবারই প্রথম আমরা দলীয় শিক্ষানীতি করিনি বলে কোনও আন্দোলন হয়নি।

এ সময় তিনি শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল চালুর বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে বলে জানান।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, চবি’র চারুকলা বিভাগ এবং সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করে চারুকলা ইনস্টিটিউট করার জন্য ১৯৯৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠান তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৩ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চবি’র সমাবর্তন উৎসবে ইনস্টিটিউট করার ঘোষণা দেন।

এরপর নানা প্রতিকূলতায় কেটে যায় ১১ বছর। সর্বশেষ সদ্য প্রয়াত চবি উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ আলমের চেষ্টায় ২০১০ সালের ২ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় বলে জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. আলাউদ্দিন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবুল মনসুর, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ড. সেকান্দার চৌধুরী প্রমুখ।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান শিক্ষক সৌমেন দাশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।