ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে রোড ডিভাইডার নির্মাণে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারি চালিত রিকশা ও কোনো ধরনের অযান্ত্রিক যানবান চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ শীর্ষক এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও দেশের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
মহাসড়কের পাশে বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হাইওয়ে ডিভাইডার না থাকা। একারণে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করছি মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রবন অপরিহার্য স্থানগুলোতে ডিভাইডার নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে।
রাতের বেলা যানবাহন চলাচল নিরাপদ রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যানবাহন গুলোর হেড লাইটের উপরের অর্ধেক অংশ কালো রংয়ে ঢেকে দিতে হবে। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হাইওয়েতে যানবাহনের ওভার টেকিং, ওভার লোডিং ও গতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্নস্থানে চেকপয়েন্ট স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
মহাসড়কে কোনো যানবাহন নষ্ট বা দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুুলিশের কছে প্রয়োজনীয় রেকার না থাকায় দুর্ঘনায় পতিত যানবাহনগুলোকে দ্রুত সরানো যায় না বলে সভায় জানান তিনি।
সাহারা খাতুন জানান, খুব শিগগিরই সারাদেশের জেলা পুলিশের কাছে ৬০টি রেকার দেওয়া হবে।
মহাসড়কের দু’ধারে হাট বাজারের কারণে যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে নতুন কোনো বাজার যেনো সৃষ্টি নাহয় এবং যেগুলোর আছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার পুুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মটর সাইকেল চালকদের হেলমেট পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চালকসহ আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে বাধ্য করতে ট্রাফিক বিভাগকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
মটর সাইকেলে দুইজনের বেশি চলাচল না করতেও সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১