ঢাকা: ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে/ বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে’ মাঘ মাসের শুকা পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে আরাধনা করবেন।
মঙ্গলবার বাণী অর্চনা ও বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা।
পুরাণে সরস্বতী বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে পূজিত হন।
সরস্বতী পূজা উপলে হিন্দু সম্প্রদায়, বিশেষ করে শিার্থীরা বাণী অর্চনা ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
রাজধানীসহ সারাদেশের মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ শিা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে। এখানে সকাল ৬টায় প্রতিমা স্থাপন, নয়টায় স্তোত্র পাঠ, সকাল ১০টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, বেলা ১২টায় প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা ৭টায় সন্ধ্যা আরতি এবং রাতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হবে।
রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ এবং রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম পূজামণ্ডপে পূজা শেষে সকালে অঞ্জলি প্রদান করা হবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতি জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে।
মুক্তাঙ্গনে বাংলাদেশ সচিবালয় পূজা উদযাপন ও কল্যাণ পরিষদ পূজার আয়োজন করে। এখানে সকাল নয়টায় পূজা, সাড়ে ১১টায় পু®পাঞ্জলি, বেলা সাড়ে ১২টায় প্রসাদ বিতরণ এবং সন্দ্যা ছয়টায় সন্ধ্যা আরতি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ১০টা থেকে ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
জগন্নাথ হলের মাঠে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১