নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দণি মাসদাইর এলাকাবাসীর সঙ্গে একদল নারী উত্ত্যক্তকারী বখাটের সংঘর্ষের ঘটনায় একই পরিবারের মা-বাবা ও ছেলেসহ স্থানীয় চারজনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় এক সন্ত্রাসী।
সোমবার দুপুরের এ ঘটনায় আহতরা হলেন, দণি মাসদাইর এলাকার মুদি দোকানদার আকতার হোসেন, তার বাবা শফিক মিয়া ও মা মিনারা বেগম, খলিল হাজী ও বখাটে যুবক সৈকত। তাদের সবাইকে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টায় দণি মাসদাইর ঘোষের বাগের সাইদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে সাবিনা বেগমের ঘরে তার এক তরুণী আত্মীয় বেড়াতে আসেন। এসময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে যুবক সুইট ও শরীফ তাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করে।
স্থানীয় মুদি দোকানদার আকতার হোসেন এর প্রতিবাদ জানালে বখাটে শরীফ ও তার ১০-১২ জন সহযোগী তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আকতারের বাবা শফিক মিয়া, মা মিনারা বেগম ও এলাকার খলিল হাজী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারধর করে বখাটেরা। তারা লাঠিসোটা দিয়ে চারজনকে বেধড়ক প্রহার এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
আক্রান্তদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
সন্ত্রাসীরা আকতারের দোকানসহ দু’টি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় সৈকত নামে একজনকে ধরে গণপিটুনী দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জীবন কান্তি সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বখাটেদের হামলায় আহত খলিল হাজী বাদী হয়ে বখাটেদের নামে মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১