ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতিবাদের মুখে ঢাবি এলাকার গাছ কাটা বন্ধ, মঙ্গলবার মানববন্ধন

মাহামুদুল হাসান, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১
প্রতিবাদের মুখে ঢাবি এলাকার গাছ কাটা বন্ধ, মঙ্গলবার মানববন্ধন

ঢাকা : প্রতিবাদের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সলিমুল্লাহ হলের পাশের রাস্তার দু’ধারের গাছ কাটা বন্ধ হয়ে গেছে।  

গাছ কাটার প্রতিবাদে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।


পলাশী থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যাওয়ার পথে সলিমুল্লাহ হলের রাস্তার দু’পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি কড়ই গাছগুলো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই সোমবার কাটতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

প্রায় শতবর্ষী এই গাছগুলো টিকিয়ে রেখেছে ওই এলাকার সৌন্দর্য আর প্রাকৃতিক পরিবেশ। পরিবেশবাদীরাও এই রাস্তাকে রাজধানীর সুন্দরতম রাস্তা বলে আখ্যা দেন।

সোমবার দুপুরে এই গাছগুলোর মধ্যে চারটি কাটা শুরু হয়। দু’টি গাছের অধিকাংশ ডালপালা কেটে ফেলার পর পরিবেশবাদীদের বাধার মুখে গাছকাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চারটি গাছের মধ্যে রাস্তার বাম দিকের একটি গাছ শুকিয়ে গেলেও জীবনীশক্তি এখনও অটুট। এছাড়া বাকি তিনটি গাছ এখনও পুরোপুরি সতেজ। শুধু দু’একটি ডাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার দফতরের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক সৈয়দ হাদিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাছগলো শুকিয়ে গেছে। যে কোনো সময় ডাল ভেঙে পড়তে পারে। এই রাস্তা দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে এই ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। ’

সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টসের মহাপরিচালক তুষার রেহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুরনো গাছ কাটতে গেলে একটা বিধিমালা থাকে। এখানে যেসব কারণ দেখিয়ে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, তার একটিও নেই এখানে। শতবর্ষী গাছের পাতা এমনিতেই কম থাকে। আসলে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। ’

গ্রিন বেল্ট ট্রাস্টের মহাপরিচালক জসীম কাতাবি বাংলানিউজকে বলেন, ‘যে ডালগুলো একদম শুকিয়ে গেছে সেগুলো কাটা যেতে পারে। তাই বলে পুরো গাছটিই কেটে ফেলতে হবে কেন?’

উল্লেখ্য, এই চারটি গাছ কেটে ফেলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার দফতর গত ১৬ জানুয়ারিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।