বেনাপোল: ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া ১৪ বাংলাদেশি তরুণী ও ১ শিশুকে শনিবার বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ)।
বিজিবি সদস্যরা তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মানবাধিকার সংস্থা রাইটস যশোরের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়।
২২ বিজিবির বেনাপোল চেকপোস্ট ক্যাম্প ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানায়, গত দু’বছর আগে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে একটি নারী পাচারকারীচক্র বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে সীমান্তপথে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে দেয়। সেখানে যাওয়ার পর ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে ভারতের ওয়েসিস নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আদালত থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে।
সংগঠনটি তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে রাইটস যশোর নামের একটি মানবাধিকার সংস্থাকে জানায়। রাইটস দু’দেশের স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন দেনদরবারের পর উভয় দেশের সম্মতি পেয়ে শনিবার বিকেলে বিএসএফ এসব তরুণী ও শিশুকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
ফিরে আসা ১ শিশু ও ১৪ তরুণী হচ্ছেন, সাতক্ষীরা জেলা সদরের শের আলীর কন্যা আয়েশা খাতুন (১৮), একই জেলার কলারোয়া উপজেলার শহিদুল ইসলামের মোমেনা খাতুন (২০), তার ২ বছরের শিশুপুত্র সোনালী, মিজানুর রহমানের কন্যা স্বপ্না খাতুন (১৮), রুহুল আমিনের কন্যা লতা রাইমা (১৮), কাশেম আলীর কন্যা রেবেকা পারভীন (১৮), যশোরের শার্শা উপজেলার আব্দুল মালিকের কন্যা নাজমা খাতুন (১৮), ঝিকরগাছা উপজেলার রমজান আলীর কন্যা শিল্পী খাতুন (১৬), কোতয়ালী থানার এনামুল হকের কন্যা রিক্তা খাতুন (১৭), আসলাম শেখের কন্যা কাজল পারভীন টুম্পা (১৬), ওয়াজেদ আলীর কন্যা রাবেয়া খাতুন (১৭), আক্তারুজ্জামান বাবুর কন্যা শ্যামলী আক্তার (১৫), মৃত ইশারত খন্দকারের কন্যা সুমি খাতুন (১৪), মনিরামপুর উপজেলার ইছাহাক আলীর কন্যা রহিমা খাতুন (১৮) ও নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নজরুল মোল্যার কন্যা রুনা খাতুন (১৮)।
এসব নারী ও শিশুটিকে রাইটসের নিজস্ব শেল্টার হোমে এনে রাখা হয়েছে। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে রাইটস বাংলানিউজকে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১১