ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সার্কুলার ট্রেন চালু হবে

হাজেরা শিউলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১১
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সার্কুলার ট্রেন চালু হবে

চট্টগ্রাম : বন্দরনগরীতে যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সার্কুলার ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে রেলওয়ে। এ জন্য ঢাকার রেলভবনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।



দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামে রেলের মালামাল পরিবহনের জন্য স্থাপিত গুডস ট্রেনের (মালবাহী) বিদ্যমান লাইন সংস্কার এবং সম্প্রসারণ করে নতুন এই ট্রেন চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই ট্রেন চালু হলে যানজট নিরসনের পাশাপাশি মূল সড়কে গাড়ির চাপ ও দুর্ঘটনা কমবে। এছাড়া বিমানবন্দর এবং অফিসগামী যাত্রীরা অল্প খরচ ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবেন। ’

সার্কুলার ট্রেন চালুর প্রস্তাব রেলভবনে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নতুন লাইন সম্প্রসারণে সরকারের সদিচ্ছা আছে। এ প্রকল্পের অনুমোদন এবং অর্থের সংস্থান হলেই আমরা কাজ শুরু করব। ’

প্রথম ধাপে প্রস্তাবিত সার্কুলার ট্রেনের রুট হচ্ছে চট্টগ্রাম স্টেশন-এসআরভি (স্ট্র্যান্ড রোড ভিক্টোািরয়া)-সিজিপিওয়াই (চিটাগাং পোর্টইয়ার্ড)-সল্টগোলা-ড্রাইডক-শাহআমানত এয়ারপোর্ট। ফিরতি পথে একইভাবে এয়ারপোর্ট থেকে ড্রাইডক-সল্টগোলা-সিজিপিওয়াই-ফৌজদারহাট- চট্টগ্রাম স্টেশন।

পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের জন্য খুব বেশি জমি অধিগ্রহন করতে হবে না। প্রস্তাবিত রুটের অধিকাংশ জায়গা রেলওয়ের। ’

তিনি আরও বলেন, ‘নাজিরহাট-দোহাজারী রুটের রেল লাইন সংস্কার এবং প্রস্তাবিত সার্কুলার টেন চালু হলে চট্টগ্রাম শহরে আর কোনো যানজট থাকবে না।
দ্বিতীয় ধাপে শাহআমানত এয়ারপোর্ট থেকে কেইপিজেড (কর্নফুলী ইপিজেড) এবং সিইপিজেড পর্যন্ত সার্কুলার টেন চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দুই ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার কয়েক লাখ শ্রমিক ট্রেনে চড়ে অফিসে যাতায়াত করতে পারবেন। ’
 
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মূল লাইনে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ফৌজদারহাট হয়ে চিটাগাং পোর্টইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) পর্যন্ত রেলসহ বিভিন্ন সংস্থার মালামাল পরিবহনের জন্য ৯৬টি ইয়ার্ড লাইন আছে। এছাড়া সিজিপিওয়াই থেকে ড্রাইডক পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের একটি লাইন থাকলেও সেটি বর্তমানে পরিত্যক্ত এবং ব্যবহার অনুপযোগী।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমজান আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিদ্যমান গুডস ট্রেনের সেকশন লাইনের সংস্কার এবং নতুন ১৪ কিলোমিটার রেললাইন করা হলে সার্কুলার ট্রেন চালু করা সম্ভব। ’

এরই মধ্যে ফৌজদারহাট থেকে সিজিপিওয়াই পর্যন্ত গুডস সেকশনের পুনর্বাসন ও সংস্কার কাজ  চলছে বলে তিনি জানান।
 
চট্টগ্রামে যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে সার্কুলার ট্রেন চালু করা সময়ের দাবি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময় : ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।