ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে মন্দিরে চুরির ঘটনায় চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১১
নারায়ণগঞ্জে মন্দিরে চুরির ঘটনায় চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে একের পর এক চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরচক্রের তিন হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।



সাংবাদিক সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন জানান, শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বন্দর ও লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা শহরের টানবাজার জিউর আখড়া, কালীবাজারে কালীমন্দির, শীতলক্ষ্যা এলাকার সত্যনারায়ণ মন্দির ও ফতুল্লার একটি মন্দির থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরির কথা স্বীকার করে।
 
গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মন্দিরে চুরি হওয়া একভরি ওজনের স্বর্ণ, ১০ ভরি ওজনের রুপার অলঙ্কার ও নগদ ৭ হাজার টাকা এবং তালা কাটার বড় যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরা উপজেলার মনুসর বেপারির ছেলে মনির হোসেন, শহরের চাঁদমারী এলাকার শহীদুলাহ বেপারির ছেলে গরীবউল্লাহ। অন্য দুজন হলো শহীদ জামান এং মনোরঞ্জন। মনোরঞ্জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্দর এলাকার বিমল বিশ্বাসের ছেলে।

সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা মূলত বিভিন্ন মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটাতো। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দু’জন এর আগে  নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার দুটি মন্দিরের চুরির ঘটনার তালিকাভুক্ত আসামি। তারা আগে কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছে। চুরি করা স্বর্ণালঙ্কার বন্দর উপজেলার বিমল বিশ্বাসের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন সরকারের কাছে বিক্রি করে।

পুলিশের দাবি, তালাকাটার যন্ত্রটি মূলত ওয়াসারা কাজে ব্যবহৃত হয়। এ যন্ত্র দিয়ে বড় ধরনের লোহার পাইপসহ শক্তিশালী অনেক কিছু সহজেই কাটা যায়। চোরের দল এ কাটারটি ঢাকার শনির আখড়ায় একটি ড্রেনে সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে রাখতো। কোনো অভিযানের সময়ে এ কাটারটি তারা ব্যবহার করতো।

সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বাস আফজাল হোসেন বলেন, এটা কোনো নাশকতা নয়। এই চোরের দল মন্দিরের চুরির ঘটনায় একের পর এক সফলতা পাওয়ায় বিভিন্ন মন্দিরকে টার্গেট করে এসব চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি আরও জানান, বাকি চোরদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি শহরের শীতলক্ষ্যা এলাকায় সত্যনারায়ণ জিউর মন্দিরে, ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার সিরাজউদ্দৌলাহ রোড এলাকার কালীমন্দিরে, ১০ জানুয়ারি শহরের টানবাজার জিউর আখড়া, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শহরের আমলাপাড়া এলাকার লক্ষী জনার্দন বালা জিউর আখড়া মন্দির ও ২৮ ডিসেম্বর শহরের দেওভোগ জিউর পুকুরপাড় এলাকায় গৌর নিতাই আখড়া মন্দিরে চুরি ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।