ঢাকা: জনগণকে সম্পৃক্ত এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব। আর এই কাজটি করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গর্ভমেন্টে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি সেমিনারে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় নানা মত ও পথের বিবরণ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এ নেতা ২০০১ সালের পর বিএনপি জামাতের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের পটভূমি তুলে ধরেন। এই উত্থানের বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় জনগণের ঐক্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত। তথ্য কমিশনের কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড: সাদেকা হালিম এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: সৈয়দ আবু হাসনাত।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সন্ত্রাসবাদ সারাবিশ্বে আজ শান্তির পথে অন্যতম প্রধান বাধা। শেখ হাসিনা শক্তি দিয়ে বা অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করেন নি। তিনি গণজাগরনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করেছেন। ’
তিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার মডেলকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এখন শেখ হাসিনার শান্তির মডেলই শ্রেষ্ঠ মডেল। সন্ত্রাসবাদ কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়, তাই এর মোকাবেলায় সামগ্রিক আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে জনগণের ক্ষমতায়ন ঘটাতে হবে। ’
তিনি শেখ হাসিনার শান্তির দর্শনের নানা দিক তুলে ধরেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এম.পি যুবলীগের পক্ষ থেকে সেমিনারে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে হাভার্ড শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার শান্তির দর্শনের ওপর নানা প্রশ্ন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১১