ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে স্কুলে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর: আহত ১৩

ঈশ্বরদী সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১

ঈশ্বরদী: ঈশ্বরদীর রূপপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক  নিয়োগকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও প্রধান শিক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।

সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে বিদ্যালয়ের ৫শ ছাত্রী প্রাণভয়ে দিগি¦দিক ছুটতে গিয়ে আরো অন্তত ১১ জন ছাত্রী আহত হয়েছেন।



রোববার সকাল আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের জন্য রোববার দুপুর ২টায় পাবনা কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু এর আগেই পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাবলুকে পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ দেওয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ডোরা প্রধান শিক্ষককে চাপ দেয়।   প্রধান শিক্ষক তাতে রাজি না হলে রোববার সকালে মোস্তাফিজুর রহমান, লাবলুসহ প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি গ্র“প বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক আনিছুর রহমানকে আবারও চাপ দিতে থাকে। এতে রাজি না হলে সন্ত্রাসীরা তাকে রুম থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে।

এ সময় তারা প্রধান শিকের কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। ফাইলপত্র তছনছ করে। হামলায় আতঙ্কিত হয়ে বিদ্যালয়ের ৫শ ছাত্রী ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এতে অন্তত ১১ জন ছাত্রী আহত হন। ছাত্রীদের অনেকে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে বাড়ি চলে যান।

ঘটনা দেখে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তাদের বাধা দিলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম মারধর করেছে। তার অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।

এ প্রসঙ্গে পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার মতিয়ার রহমান জানান, রূপপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার খবর শুনে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার সত্যতা দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে নিয়োগকে কেন্দ্র করে এক প্রার্থীর লোকজন হামলা চালিয়ে প্রধান শিক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মারধর করেছে। প্রধান শিকের কে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। ’

তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। ’

এ ঘটনায় বিদ্যালয় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।