সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার বিভিন্নস্থানে লাগানো ফেলানী-র কাঁটাতারে ঝুলন্ত লাশের ছবির পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে থানাপুলিশ।
রোববার সকাল থেকে হন্যে হয়ে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টারগুলি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলতে দেখা গেছে তাদের।
রোববার গভীর রাতে কে বা কারা পোস্টারগুলি শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে সেঁটে দেয়। এছাড়া রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের নাকের ডগায় একদল লোক ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্কুল, দোকানপাট, অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ করে। তারপরেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে খুঁজে পায়নি।
পোস্টার ও লিফলেটগুলির জমিন কালো রঙের এবং তার ওপর লাল কালিতে বড় বড় করে লেখা ‘ফেলানী ঝুলছে না, ঝুলছে বাংলাদেশ’।
পোস্টার ও লিফলেটের ছবিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার সঙ্গে ফেলানীর উল্টো করে ঝুলন্ত লাশের ছবি ও পাশে একটি মই রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্মম নির্যাতনের কাহিনী!
এছাড়াও লিফলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি সম্পর্কে কটূক্তি (‘নির্লজ্জ’, ‘বেহায়া’ ও ‘নিমকহারাম’) করা হয়। ফেলানীকে তার মেয়ের সঙ্গে তুলনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ভারত-তোষণ’ নীতির ব্যঙ্গ করা হয়।
পোস্টার ও লিফলেটের নিচে ডানপাশে লেখা, ‘প্রচারে-বাংলাদেশের জনগণ’। স্থান, তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কুড়িগ্রাম সীমান্ত, ৭ জানুয়ারি, ২০১১’।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) বাসুদেব সিনহা বাংলানিউজকে জানান, ‘পোস্টার ও লিফলেট নিয়ে আমরা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। নিশ্চয়ই কোনো রাজনৈতিক দল সরকারের ভাবমূর্তি ও প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য এ ধরনের কাজ করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১