ঢাকা: আশুলিয়ার ইটভাটা থেকে শিকলে বেঁধে রাখা ৩০ নারী ও শিশু উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- একতা ইট ভাটার ব্যবস্থাপক সুলতান মাহমুদ রতন ও নৈশ প্রহরী হোসেন গাজী।
বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে এনে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।
রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব। তিনি শুনানিতে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ৩২৩/৩৪৩/৩২৫/৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলার সব ধারা জামিনযোগ্য। তাই আসামি জামিন পাওয়ার হকদার।
ঢাকার বিচারিক হাকিম মাসরুর সালেকীন শুনানি শেষে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন।
আশুলিয়ার একটি গ্রামের নাম পাড়াগাঁও। ওই গ্রামের বিলের মধ্যে গড়ে তোলা একতা ব্রিকস নামের ইটভাটায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষদের চাকরির প্রলোভনে এনে জড়ো করা হয়েছিল।
কাজ শেষে রাতে কৃতদাসের মতোই তিনটি খুপড়ি ঘরের ভেতরে হাত-পায়ে শেকল বেঁধে বন্দী করে রাখা হতো তাদের। খেতে দেওয়া হতো শিকলে বাঁধা অবস্থাতেই। কোনো কাজে বা কথায় অবাধ্য হলেই নামিয়ে দেওয়া হতো বিদেশি মাগুরের পুকুরে।
বুধবার সন্ধ্যায় যখন র্যাব শিকলে বেঁধে রাখা ৩০ জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় তাদের শেকলে বাঁধা অবস্থায়ই রাতের খাবার দেওয়া হয়েছিল। দিনের কাজ শেষ হলে বন্দী অবস্থায় দা-বটি হাতে তাদের পাহারা দিতো মালিকের লোকজন।
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে ঢাকা বারের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, ‘মামলা দায়েরে দুর্বলতা ও পুলিশের গাফলতির কারণে আসামিরা জামিন পেয়ে গেলেন। মামলার রেকর্র্ডিং অফিসার মামলায় ৩২৬ ও ৩০৭ অজামিনযোগ্য ধারা যুক্ত করতে পারতেন। আসামিরা এ মামলায় জামিন পাওয়ায় এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময় : ২০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১