ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেনাবাহিনীতে আরো দুটি ডিভিশন হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪
সেনাবাহিনীতে আরো দুটি ডিভিশন হচ্ছে

ঢাকা: সেনাবাহিনীতে আরো দুটি ডিভিশন গঠন করা হচ্ছে। রামুতে একটি ডিভিশন এবং রাজবাড়ীর সন্নিকটে চর ভবানীপুরে একটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।



বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদেই এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমানে সেনাবাহিনীতে ৭ পদাতিক ডিভিশন, ৯ পদাতিক, ১১ পদাতিক, ১৭ পদাতিক, ১৯ পদাতিক, ২৪ পদাতিক, ৩৩ পদাতিক, ৫৫ পদাতিক, ৬৬ পদাতিক ও আর্টডক মোট ১০টি ডিভিশন রয়েছে। এই দুটি ডিভিশন যুক্ত হলে সেনাবাহিনীতে ডিভিশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টিতে।

রোববার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাসদর অফিসার্স মেস (নতুন)-এ উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা অংশগ্রহণে জেনারেলস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়াসহ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল থেকে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তারা জেনারেলস কনফারেন্সে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে রিয়েল এস্টেট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন পূর্বক ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে এই দুটি ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এজন্য কক্সবাজারের রামু এবং বান্দরবনের রুমাতে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস স্থাপনের জন্য সেনাবাহিনীকে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়া সিলেটের শাহ্পরান বাইপাস এলাকায় নবগঠিত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জন্য দেড় হাজার একর জমি অধিগ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে  নবগঠিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের আবাসনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর উভয় পার্র্শ্বে অধিগ্রহণকৃত জমি হতে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

শেখ হাসিনা বলেন, এডহক ভিত্তিতে সিলেটে একটি এরিয়া সদর দপ্তর, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন, একটি এমপি ইউনিট এবং একটি ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী ৬ বৎসরে নবগঠিত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অর্গানোগ্রামে ৩৬টি নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠার নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।

এরইমধ্যে সেনাসদরের অধীনে মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্রোডাকশন ব্রাঞ্চ গঠনেরও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সামরিক সরঞ্জামাদি এবং সেনাবাহিনীর অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা।

ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এরইমধ্যে জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশন গঠন করা হয়েছে। এ ডিভিশনের অধীনে একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং দুটি নতুন পদাতিক ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে।

মিরপুর সেনানিবাসে একটি এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট, চট্টগ্রাম সেনানিবাসে একটি মিলিটারী ফার্ম, খোলাহাটি সেনানিবাসে একটি এসএসডি এবং সাভার ও বগুড়া সেনানিবাসে দুটি এডহক মেকানাইজড ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।