ঢাকা: শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম আগারগাঁও এলাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ফজলু হত্যায় জড়িত ভাড়াটে খুনি দুলালের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন, আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জের মকসুদপুর থেকে দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুলাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফজলুল হক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গেয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আজাহারুল ইসলাম আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ড. আব্দুল মজিদ শুনানি শেষে আসামির এ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি একজন ভাড়াটে পেশাদার খুনি। তিনি টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে দুটি মোটর সাইকেলে করে ছয় সন্ত্রাসী গুলি করে ফজলুল হককে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি নিহত ফজলুল হকের স্ত্রী নীলা হক বাদী হয়ে শেরেবাংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী নূর মোহাম্মদের ওপর হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক। গত ৮ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন হাজী নুর মোহাম্মদ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজ এবং থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ আলীকে।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় তদন্তের দায়িত্ব গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১১