ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘এখনই পদক্ষেপ না নিলে এক যুগের মধ্যে মহামারি হতে পারে হৃদরোগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১১

ঢাকা: ভুল জীবনাচরণ, অবৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস ও টেনশনের কারণে করোনারি হৃদরোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই পদপে না নিলে আগামী দশ-বারো বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।



শুক্রবার জাতীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে ‘হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে মেডিটেশন ক্যাসেট ও সিডির প্রকাশনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক (সমন্বয়) মিসেস সুরাইয়া রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএসটিসি’র উপাচার্য জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দি ডেইলি সান সম্পাদক প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী, কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক। অনুষ্ঠানে হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধের  বিশেষ মেডিটেশন সম্বলিত ২টি ক্যাসেট ও সিডির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ধূমপান, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ইত্যাদি করোনারি হৃদরোগের অন্যতম কারণ। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান অনুঘটক। যার কোনো সমাধান প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় নেই। তাই হৃদরোগ থেকে পরিপূর্ণ নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন জীবনধারায় পরিবর্তন, ধূমপান বর্জন ও টেনশনমুক্ত জীবন। আর টেনশনমুক্ত জীবনের জন্যে মেডিটেশনের ভূমিকা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কার্ডিওলজির বইগুলোতেও করোনারি হৃদরোগ নিরাময়ে মেডিটেশন ও জীবনযাত্রা পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এসব নিয়ে প্রথম গবেষণাকারী ডা. ডিন অরনিশকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত বলেও আমি মনে করি। ’

তিনি বলেন, হৃদরোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম হার্ট কাবের এ উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার হওয়া উচিৎ। কারণ সত্য বলতে কোনো ভয় থাকা উচিত নয়। ’  

দি ডেইলি সান সম্পাদক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রশান্তিই হৃদরোগের সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক। তাই হৃদরোগ থেকে মুক্তির জন্যে মেডিটেশন ও অটোসাজেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’

প্রসঙ্গত, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গত ১৮ বছর ধরে দেশে হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে সঠিক জীবনদৃষ্টি, মেডিটেশন, কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হৃদরোগে আক্রান্ত অসংখ্য মানুষ নিরাময় লাভ করেছেন এনজিওপ্লাস্টি বা সার্জারি ছাড়াই। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ২৩ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেছে হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে আরো সুপরিকল্পিত কার্যক্রম ‘কোয়ান্টাম হার্ট কাব’। এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ এখন আগের চেয়ে সুস্থ, আগের চেয়ে প্রাণবন্ত ও আগের চেয়ে কর্মম। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে হৃদরোগীদের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরাও উপকৃত হচ্ছেন সমানভাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।