ঢাকা: বিদেশে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সম্প্রতি মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ বাংলাদেশি কর্মীর ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে অস্বচ্ছতা তৈরি হয়েছে।
নিহত শ্রমিকদের পরিবার ক্ষতি পূরণের টাকা পাবেন কি-না বা পেলেও কবে নাগাদ পাবেন তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
মরিশাসের সরকার বলছে- নিহত শ্রমিকদের কারো নামেই বীমা করা নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- মরিশাস থেকে শ্রমিকদের বীমার টাকা এনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
শুক্রবার প্রকাশিত মরিশাসের প্রধান দৈনিক ‘লা এক্সপ্রেস’- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ১১ বাংলাদেশির কারো নামেই বীমা নেই।
অন্যদিকে শাহাজালাল বিমানবন্দরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ারের মহাপরিচালক সুলতানা লায়লা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম আছে। তবে আমরা ওই দেশে করা শ্রমিকদের ইনস্যুরেন্স থেকে টাকা এনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চিন্তা করছি। ’
তবে মরিশাসের শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ শাকিল বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কোম্পানিতে কর্মরত ব্যক্তিদের অবশ্যই বীমা থাকতে হবে। তবে নিহতরা যেন বীমা সুবিধা পান, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’
মোহাম্মদ শাকিলের এ মন্তব্য আশা জাগানিয়া হলেও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না বলেই মনে করছেন নিহতদের স্বজনরা।
দ্রুত লাশ এসেছে
শাহাজালাল বিমানবন্দরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের সময় কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ারের মহাপরিচালক সুলতানা লায়লা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা লাশ দেশে আনতে পেরেছি ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পেরেছি। ’
তিনি বলেন, ‘এটা মরিশাস সরকারের আন্তরিকতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা ও আন্তরিকতা ছিল। ’
বিদেশ থেকে শ্রমিকদের লাশ দেশে আনতে বরাবরই দেরি হয় কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত কারণে লাশ আনতে দেরি হয়। এখানে প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ভালো ছিল তাই তাড়াতাড়ি কাজ হয়েছে। ’
তিনি আরও জানান, লাশ দাফনের জন্য নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৩৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১১