ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বজনদের কাছে ১০ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ হস্তান্তর

মহিবুব জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১১
স্বজনদের কাছে ১০ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ হস্তান্তর

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে: মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ বাংলাদেশির মরদেহ এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর ৫৮৫ নম্বর ফাইটে শুক্রবার রাত পৌনে ন’টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।

রাত পৌনে ১০টার দিকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা ডেস্কের মহাপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দর সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ফাইটটিতে বয়ে আনা দুটি প্লেটে ৫জন করে বাংলাদেশির মৃতদেহ ছিলো।

ওয়াহিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিহত বাংলাদেশিদের সবারই ইন্স্যুরেন্স করা রয়েছে। ওই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকেই তাদের লাশ আনার খরচ বহন করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত কারণে ইন্স্যুরেন্স  কোম্পানির পক্ষ থেকে যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পররাষ্টমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষতিপূরণ আদায় করে নিহতদের পরিজনদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আরও ১জন বাংলাদেশি মরিশাসের হাসপাতালের কোমায় রয়েছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

মরদেহ বুঝে নিতে বিকেল থেকেই বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন নিহতদের স্বজনরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ফয়সালাবাদ গ্রাম থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসেছেন হাবিবুর রহমান (২৮)। তিনি বাংলানিউজকে জানান, খালাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমানের লাশ নিতেই এসেছেন তিনি।

হাবিবুর জানান, মোস্তাফিজুর রহমান দেড় লাখ টাকা ব্যয় করে আরও ১২ দিন আগে মরিশাস যান। দেশে থাকাকালে তিনি একজন দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও বিদেশে চাকরির জন্য নিজের সবকিছু বিক্রি ও ধারদেনা করে দেড় লাখ টাকা যুগিয়ে আদম বেপারীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর।

বিমানবন্দরে আরমান নামে আরেকজন স্বজনকে ডুকরে কাঁদতে দেখা যায়।

বাংলানিউজকে তিনি জানান, লাশের বহরে তার ভগ্নিপতি আল মামুনের মৃতদেহ রয়েছে। আল মামুন আগে ঢাকার গোড়ানে টেইলারিং দোকান পরিচালনা করে ভালই আয় রোজগার করতেন। কিন্তু বিদেশে গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চাকরি, মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নিয়ে পাওয়ার প্রলোভনে তিনি আড়াই লাখ টাকা তুলে দেন আদম বেপারীর কাছে।

কিন্তু মাত্র ১২ দিনের মধ্যে তার লাশ নিতে হচ্ছে বলেই কেঁদে উঠেন আরমান। তাদের বাড়িও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পল্লীতে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad