ঢাকা: চলমান শৈত্যপ্রবাহ শনিবারের মধ্যে কেটে গেলেও আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে দেশে আরেক দফা তীব্র শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে বলেন, ‘২২ জানুয়ারি থেকে এ মাসের দ্বিতীয় দফা তীব্র শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এ মাসে যে দু’টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হবে তা আগেই ধারণা করা হয়েছিল। ’
এদিকে চলমান তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুক্রবারও বয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় তৈরি করা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার উপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চল এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ’
এছাড়া রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে এবং দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সবনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া রাজশাহীতে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি, বগুড়ায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি, রংপুরে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ঢাকায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সিলেটে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং বরিশালে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১